এবার তীরে এসে তরী ভেড়াল রাজশাহী
স্কোরকার্ড
রাজশাহী ২০ ওভারে ১৬২/ ৫ (স্যামি ৪৪*, আকমল ৩৩*; ডসন ৩/১৫)
রংপুর ২০ ওভারে ১৫০/৫ (মিথুন ৬৪*, অপু ২/১৯)
ফল: রাজশাহী ১২ রানে জয়ী
খুলনা ও বরিশালের সঙ্গে জেতা ম্যাচও বেরিয়ে গিয়েছিল হাত ফসকে। রংপুর রাইডার্সের সঙ্গেও কি সেরকম কিছুর পুনরাবৃত্তি হবে? শেষ তিন ওভারে রংপুরের দরকার ৪৪, জয়ের পাল্লাটা একটু হলেও হেলে ছিল রাজশাহীর দিকে। কিন্তু ফরহাদ রেজার ওই ওভারে এলো ১৬। সমীকরণ হয়ে গেল ২ ওভারে ২৮ রান। ক্রিজে মোহাম্মদ মিথুন তখন করে ফেলেছেন ৩১ বলে ৫৫। অন্য প্রান্তে নাঈম ইসলামও প্রথম বলেই মেরেছেন ছয়। ম্যাচটা কি তাহলে রংপুরই জিততে যাচ্ছে?
শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ সামির ওভারটাই দুই দলের পার্থক্য গড়ে দিল। প্রথম দুই বলে দারুণ দুইটি ডট দিলেন সামি, পরের চার বলেও এলো মাত্র ২ রান। স্কোরকার্ড বলবে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছেন, ম্যাচে আসলে খুব বড় অবদান নেই। কিন্তু আসলে তো সামির ওই ওভারটাই প্রায় নিশ্চিত করল রাজশাহীর জয়। শেষ ওভারে ২৪ রান দরকার ছিল, রংপুরের জন্য সেটি একটু বেশিই কঠিন ছিল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা হেরে গেছে ১২ রানে। রাজশাহী পেয়েছে টুর্নামেন্টে নিজেদের তৃতীয় জয়, রংপুর পেয়েছে এবার বিপিএলের মাত্র দ্বিতীয় পরাজয়ের স্বাদ।
অবশ্য রাজশাহীর জয়ের মূল নায়ক সামি নন, স্যামি। এবারের আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ব্যাট হাতে তেমন একটা আলো ছড়াতে পারেননি। আজ যখন নেমেছিলেন, তখন রাজশাহীর রান ১৩.৫ ওভার শেষে ৮৭। ১৭ ওভার শেষে সেটি গিয়ে দাঁড়াল ১০৭, ক্রিজে আছেন উমর আকমল ও স্যামি। ঝড়টা শুরু হলো ১৮তম ওভার থেকে, আনোয়ার আলীর এক ওভারে এলো ১৭ রান। রুবেলের পরের ওভার থেকেও স্যামি-আকমল নিলেন ১৫ রান। তবে ব্যবধান গড়ে দিল আনোয়ার আলীর শেষ ওভারটা, আকমল প্রথম দুই বলে ১০ রান। শেষ দুই বলে স্যামি মারলেন দুই ছয়। ঐ ওভার থেকে এলো ২৩ রান, শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত স্যামি। উমর আকমল ৩০ বলে করেছেন ৩৩।
সেই রান তাড়া করে রংপুরের শুরুটা স্লথই ছিল। মিথুন নামার পর রানের গতিটা সচল রাখার চেষ্টা করেছিলেন। ম্যাচের একমাত্র ফিফটিও তাঁর, কিন্তু সেটি শেষ পর্যন্ত বিফলেই গেছে। রাজশাহীর নাজমুল ইসলাম অপুই ছিলেন সবচেয়ে উজ্জ্বল। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।