বোলারদের কীর্তিতে শীর্ষে খুলনা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল ২০ ওভারে ১১৯/৫ (মুশফিক ৩১, নাফীস ২৩, জুনায়েদ ১/১২, মোশাররফ ১/১৬)
খুলনা ১৮.৪ ওভারে ২২০ (শুভাগত ৪০, মাহমুদউল্লাহ ৩৬; রুম্মান ২/১৩)
ফলঃ খুলনা ৬ উইকেটে জয়ী
শুধু রংপুরের সঙ্গে ওই দুই ম্যাচের হতাশা। সেটি একপাশে রাখলে বিপিএলে এবার খুলনা টাইটানসের জয়যাত্রা চলছেই। এবং আরও একবার বোলাররাই জেতালেন দলকে। ৬ উইকেটের সহজ জয়ে খুলনা চলে গেল পয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে। আর বরিশালের দুঃস্বপ্ন যেন কাটছেই না। টানা চতুর্থ হারে এখন পয়েন্ট তালিকার ছয়ে পড়ে আছে মুশফিকুর রহিম।
এখন পর্যন্ত বিপিএলে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকায় সবার ওপরের দিকেই আছে খুলনার বোলারদের নাম। ১৪ উইকেট নিয়ে মোহাম্মদ শহীদ ও মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে যুগ্মভাবে শীর্ষে আছেন শফিউল ইসলাম। ১২ উইকেট নিয়ে জুনায়েদ খান আছেন ঠিক তাঁর পরেই। আজও এই দুজন জ্বলে উঠেছেন, সঙ্গে অন্যরাও যার যার কাজটা করেছেন ঠিকমতোই। শফিউলের চেয়ে অবশ্য জুনায়েদই বেশি উজ্জ্বল ছিলেন। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। আলো ছড়িয়েছেন মোশাররফ হোসেন রুবেলও, মাত্র ১৬ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। ৩১ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন শফিউলও।
ঢাকার উইকেটে বল বেশ ধীরে আসছিল, মাঝে মাঝে নিচুও হয়ে যাচ্ছিল। তবে ২০ ওভার খেলেও ১১৯ রানের জন্য বরিশালের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের কাঠগড়ায় ওঠাতেই পারেন। মুশফুকির রহিম ও নাদিফ চৌধুরী দুজনেই রান আউট হয়েছেন। থিসারা পেরারার সঙ্গে হাস্যকর এক ভুল বোঝাবুঝিতে আউট হয়ে গেছেন ভালো খেলতে থাকা মুশফিক। তবে নাদিফ রান আউট হয়েছেন একেবারেই নিজের “কৃতিত্বে।” ডাউন দ্য উইকেটেও ক্রিজে ফেরার আগে দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়ে গেছেন।
জুনায়েদরা অবশ্য বরিশালের ব্যাটসম্যানদের শুরু থেকেই লাগাম পরিয়ে রেখেছিলেন। এক মুশফিক ছাড়া বাকি কেউই সেভাবে হাত খুলে খেলতে পারেননি। পুরো ইনিংসে মাত্র দুই ছয়, পেরেরা ও এনামুল হক সেই দুইটি মেরেও রানের চাকা সেভাবে সচল রাখতে পারেননি।
এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খেয়েছিল খুলনা। ১৬ রানের ভেতর ফিরে গিয়েছিলেন হাসানুজ্জামান ও রিকি ওয়েসেলস। এরপর তায়েবুর রহমানকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেছেন শুভাগত হোম। ৪৯ রানে তাইবুর ফিরে গেলে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে একটু একটু করে জয়ের দিকে নিয়ে গেছেন শুভাগত। রুম্মান রঈসের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে আউট হওয়ার আগে করেছেন বিপিএল সর্বোচ্চ ৪০। তখন অবশ্য খুলনার নিশ্চিত হয়ে গেছে অনেকটাই। শেষ পর্যন্ত ৯ বল বাকি থাকতেই জয়কে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন মাহমুদউল্লাহ।