সেই লায়নেই অস্ট্রেলিয়ার আশা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
তৃতীয় দিন শেষে
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫৯/৯ ও ১৯৪/৬ (কুক ৮১*, আমলা ৪৫; লায়ন ৩/৪৮)
অস্ট্রেলিয়া ৩৮৩ (খাজা ১৪৫, অ্যাবট ৩/৪৯, রাবাদা ৩/৮৪)
দলে ছয়টি পরিবর্তন, তিনজনের অভিষেক। অস্ট্রেলিয়া দলে একটা ছোটখাট একটা বিপ্লবই হয়ে গেছে। অ্যাডিলেড টেস্ট শুরুর আগে চোখ রাঙাচ্ছিল দেশের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের লজ্জাও। কিন্তু স্টিভেন স্মিথের নতুন অস্ট্রেলিয়া সেই শঙ্কা এড়িয়ে ফেলবে মনে হচ্ছে। অ্যাডিলেডে তৃতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে এগিয়ে আছে ৭০ রানে, হাতে মাত্র ৪ উইকেট।
অস্ট্রেলিয়াকে সেই সম্মান বাঁচানোর স্বপ্নও এমন একজন দেখাচ্ছেন, এই ম্যাচে যাঁর খেলারই কথা ছিল না। এই সিরিজটা একদমই ভালো যায়নি নাথান লায়নের, আগের দুই টেস্টে পেয়েছিলেন মাত্র দুই উইকেট। এই টেস্টে স্টিফেন ওকিফেরই খেলার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ও কিফ চোট পাওয়ায় লায়ন সুযোগ পেয়ে যান। আজ কৃত্রিম আলোতে তাঁর স্পিনেই হাঁসফাঁস করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা জেপি ডুমিনিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, এর পর আউট করেছেন টেন্ডা বাভুমা ও নাইটওয়াচম্যান কাগিসো রাবাদাকে।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তার আগে বড় ধাক্কা দিয়েছেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড। প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিয়েছেন ডিন এলগারকে, কিন্তু এরপর আমলাকে নিয়ে স্টিভেন কুক বিপদ থেকে টেনে তুলছেন। দুঃস্বপ্নের একটা সিরিজ কাটানো আমলাও জীবন পেয়ে বড় কিছুরই আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু সিরিজে পঞ্চমবারের মতো আউট হয়েছেন হ্যাজলউডের বলে, এক সিরিজে এতোবার আর কেউ আউট করতে পারেননি আমলাকে। এখনও অবশ্য ক্রিজে আছেন ফর্ম হারিয়ে খোঁজা স্টিভেন কুক, সেঞ্চুরি থেকে আছেন ১৯ রান দূরে। কুইন্টন ডি কককে নিয়ে কাল অনেকদূরই যেতে চাইবেন।
তার আগে দুপুরের সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম হাসি এনে দিয়েছিলেন ভারনন ফিল্যান্ডার। আগের দিনের সঙ্গে আর ৭ রান যোগ করেই আউট হয়ে গেছেন উসমান খাজা। তবে অস্ট্রেলিয়ার রান ৩৮৩ পর্যন্ত যাওয়ার মূল কৃতিত্ব টেল এন্ডারের। স্টার্ক ৫৩ রান করে আউট হয়ে গেছেন, দুই অঙ্ক ছুঁইয়েছেন লায়ন ও হ্যাজলউডও।