টটেনহামকে প্রথম হারের স্বাদ দিল চেলসি
দিনের শুরুতে জিতেছে দুই শিরোপা প্রতিদ্বন্দ্বী সিটি, লিভারপুল। শীর্ষস্থান ধরে রাখতে টটেনহামের বিপক্ষে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে আজ তাই জয়ের বিকল্প ছিল না কন্তের শিষ্যদের সামনে। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঠিকই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে চেলসি। পেদ্রো ও মোজেসের গোলে স্পার্সকে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হারিয়েছে। এবারের লিগে প্রথমবারের মতো পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে টটেনহাম।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই চেলসি জালে বল জড়িয়েছিল স্পার্স। কিন্তু হ্যারি কেইন অফসাইড থাকায় বাতিল হয় গোলটি। কিন্তু ১১ মিনিটের মাথায় স্পার্সের লিড ঠেকাতে পারেনি কেউ। ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে কর্তোয়াকে পরাস্ত করেন এরিকসেন। ২০১৩ থেকে প্রিমিয়ার লিগে বক্সের বাইরে থেকে সবচেয়ে বেশি গোল এই ডেনিশেরই(১২)। গোল খাওয়ার পর থেকে তৎপর হয়ে ওঠে চেলসি। গোল শধ করতে অবশ্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৪৪ মিনিট পর্যন্ত। মাতিচের পাসে বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো এক নিখুঁত শটে খেলায় সমতা আনেন পেদ্রো। এ নিয়ে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শেষ ৬ ম্যাচে ৮ গোলে সরাসরি অবদান আছে এই স্প্যানিয়ার্ডের (৩ গোল, ৫ অ্যাসিস্ট)। এটি ছিল এই মৌসুমে মাতিচের ৬ষ্ঠ অ্যাসিস্ট, যা তার গত মৌসুমের থেকে এর মধ্যেই বেশি! ১-১ ব্যবধানে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র ৬ মিনিটেই লিড নেয় চেলসি। কস্তার ক্রস থেকে ফাঁকায় দাঁড়ানো মোজেস স্পার্স জাল খুঁজে পেতে ভুল করেননি। এই মৌসুমে মোজেসের তিন গোলের তিনটিই এসেছে ঘরের মাঠে। ৫৪ মিনিটে সেই কস্তার ক্রস থেকে মার্কোস আলোন্সো সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করলে লিড আরো বাড়তে পারতো। প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলা স্পার্স যেন নিজেদের ছায়া হয়েই ছিল এই অর্ধে। পুরো দ্বিতীয়ার্ধে বলার মত সুযোগ ছিল একটিই; এরিকসেনের সেই শট দক্ষহাতে বাঁচিয়ে দেন কর্তোয়া। ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কন্তের শিষ্যরা। এ নিয়ে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শেষ ৩০ ম্যাচের একটিও জিততে পারলো না টটেনহাম।
এই জয়ে সিটি, লিভারপুলের(উভয়েরই পয়েন্ট ৩০) চেয়ে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে চেলসি(৩১)। আগামী সপ্তাহে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সিটির বিপক্ষে অগ্নিপরীক্ষায় নামবেন হ্যাজার্ডরা।