গেইল-তামিমে দুর্দান্ত চট্টগ্রাম
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স ২০ ওভারে ১২৪/৬ (সৌম্য ২৬, শেহজাদ ২১, আনোয়ার ২০*; তাসকিন ২/২৫, নবী ২/৩১, শুভাশিস ১/১৭)
চিটাগং ভাইকিংস ১৬ ওভারে ১২৮/১ (তামিম ৬২*, গেইল ৪০, বিজয় ২২; আফ্রিদি ১/২৫)
ফলঃ চিটাগং ভাইকিংস ৯ উইকেটে জয়ী
মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। বাজছিল আগমনী সঙ্গীত। শুধু ছিল প্রতীক্ষা। কখন তিনি আসবেন। অবশেষে তিনি এলেন। দেখলেন। ঝড় তুললেন। এই আকঙ্ক্ষিত অতিথিটি আর কেউ নন, টি-টোয়েন্টির বরপুত্র ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল। তাঁর ২৬ বলে ৪০ রানের ইনিংসে ভর করে রংপুর রাইডার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। ৯ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে।
মাঠে দাঁড়িয়েই ধারাভাষ্যকারদের একটা সাক্ষাৎকার দেন ক্রিস গেইল। সেখানে তিনি যা বলেছেন, তাতে নিঃসন্দেহে কাঁপবে বিপিএলের যেকোনো বোলারের বুক, “বিপিএলের জন্য প্রস্তুতি নিতে গিয়ে তিনটি ব্যাট ভেঙ্গেছি আমি।” তার খানিকটা ঝলক দেখা গেল আজকের ম্যাচে। বাকিটা হয়তো তোলা থাকলো আসন্ন ম্যাচগুলোর জন্য।
ঝড়টা গেইল শুরু করেছিলেন বটে। কিন্তু আসল কাজটা করেছেন তামিম ইকবাল। ৪৮ বলে অপরাজিত ৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক। যাতে ১টি ছক্কার সঙ্গে ছিল ৯টি চার। তবে তামিম নন, ম্যাচের পুরো আলো কাড়লেন ক্রিস গেইল। ম্যাচের আগে যিনি টুইটারে লিখেছিলেন ‘তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করার জন্য মুখিয়ে আছি।”
১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মন্থর করেছিলেন তামিম। কিন্তু আস্তে আস্তে দুজনেই ছন্দে ফেরেন। গড়েন ৫৪ বলে ৭০ রানের ওপেনিং জুটি। ২৬ বলের ইনিংসে ২টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন গেইল। শহীদ আফ্রিদির বলে আনোয়ার আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফিরে যান। এরপর দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়।