"নিষিদ্ধ" শেহজাদকে বোঝাবেন স্যামি
লো স্কোরিং ম্যাচে চার ছয়ের রোমাঞ্চ নেই। রাজশাহি-রংপুরের ম্যাচটা টি-টোয়েন্টির খুব ভালো বিজ্ঞাপনও নয়। কিন্তু মাঠের অন্য ঘটনা নিয়েই ছড়িয়েছে উত্তেজনা। পরে যেটির জন্য রংপুরের আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানানোর জন্য লিয়াম ডসনকে করা হয়েছে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা। রাজশাহী কিংসের সাব্বিরকেও ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
প্রথম ঘটনাটা ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের। জুনায়েদ সিদ্দিকী আউট হয়ে যাওয়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন সাব্বির। বল তখন রুবেলের হাতে। কিন্তু রুবেল বল করার আগেই উইকেটের পেছন থেকে শাহজাদ কিছু একটা বললেন। সাব্বিরও তখন এগিয়ে গেলেন তাঁর দিকে। দুজনের মধ্যে প্রায় যখন ঠোকাঠুকি লেগেই যাবে, রংপুরের সোহাগ গাজী এসে নিরস্ত করলেন সাব্বিরকে। পরে অবশ্য ঘটনাটা আর বেশিদুর গড়ায়নি।
কিন্তু সেটি মনে রেখে দিয়েছিলেন শেহজাদ। আউট হয়ে যাওয়ার পর ক্রিজে ফিরে যাওয়ার সময় ব্যাটটা শ্যাডো করতে করতে যাচ্ছিলেন। সেই ব্যাট গিয়ে লাগে সাব্বিরের হাতে। ব্যাপারটা যে ইচ্ছাকৃত সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। সাব্বিরও মাটিতে শুয়ে পড়েন। ড্যারেন স্যামিও এসে শেহজাদকে কিছু একটা বলেছিলেন। রংপুর ওপেনার অবশ্য তাতে ভ্রুক্ষেপ করেননি।
পরে সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল স্যামিকে। রাজশাহী অধিনায়ক সরাসরিই বললেন, "আমি তো আমার খেলোয়াড়কে দেখেছি। কিছু একটা তো অবশ্যই হয়েছে। তার তো মিথ্যা বলার কোনো কারণ নেই। আর ক্রিকেট মাঠে তো এরকম কিছু হতে পারে না, এটা ক্রিকেটের সাথে যায় না। "
তবে শেহজাদের সমালোচনা করলেও স্যামি জানালেন, সুযোগ পেলে তাঁকে নিজের দোষটা বোঝানোর চেষ্টা করবেন, "আমি ওকে বলব এরকম কিছু কাম্য নয়। আমরা ভাল বন্ধু, পিএসএলেও একসাথে খেলেছি। আমি বিশ্বাস করি, ম্যাচের পরিস্থিতি যাই হোক আপনি ক্রিকেট মাঠে অনাকাঙ্খিত কিছু করতে পারেন না। এটা খেলোয়াড়ের দায়িত্ব। যা দেখেছি সেটা সে করলে আমি ওর সাথে কথা বলব। আমি খুবই শান্তিপূর্ণ মানুষ। একজন অধিনায়ক হিসেবেই আমি বলব এটা তার করা উচিত হয়নি। "