• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    "পাগল ছাড়া এসব কথা লেখা সম্ভব না"

    "পাগল ছাড়া এসব কথা লেখা সম্ভব না"    

    ফেসবুক পোস্টে এক গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন সঙ্গীত শিল্পী আসিফ আকবর। দাবি করেছেন বরিশাল বুলসের খেলোয়াড়দের একাংশ ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত। অভিযোগটি ইতিমধ্যে ক্রিকেটাঙ্গনে দারুণ আলোড়ন তুলেছে। কারণ বরিশাল বুলসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর খোদ এই শিল্পী। সতীর্থদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মোটেই মানতে পারছেন না বরিশাল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আসিফের অভিযোগকে ‘বিরক্তিকর ও লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন । ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেছেন, “একজন মানুষের পক্ষে এসব কথা লেখা সম্ভব না...পাগল ছাড়া!”

    গতকাল দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আসিফ আকবর লিখেছেন, “অন্য কোন দলের কথা বলবো না। আমার দল বরিশাল বুলসের বিদেশী এবং দেশী খেলোয়াড়দের একটা অংশ ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত আমি নিশ্চিত, প্রমাণ নেই । তবে বিসিবি এবং আকসু যদি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দেয় তাহলে অবশ্যই তারা প্রমাণ খুঁজে পাবেন আমার বিশ্বাস।” দলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের এই অভিযোগ প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক, “এটা শোনার পড়ে কিংবা দেখার পর নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারিনি।” আসিফের এই অভিযোগকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন মুশফিকুর রহিম, “আমি কখনো এমন কিছু নিজের চোখে দেখিনি বা আমার কিংবা আমাদের টিমের কাছে কাছে এমন প্রস্তাব আসেনি। খেলোয়াড় হিসেবে আমি যে দলেই খেলি না কেন, এই দলেও দেশি-বিদেশী সবাই এত কষ্ট করে খেলছে, এত পেশাদারীত্ব, এটাই আমাদের রুটি-রোজগার, এটার সঙ্গে যদি কেউ বেঈমানি করে, এর চেয়ে বড় কিছু আর হতে পারে না।”

    ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কালো মেঘ ক্রিকেট বিশ্বে এখন এক প্রমাণিত আতঙ্কের নাম। এর থাবায় ক্ষত-বিক্ষত হয়েছিল বিপিএলও। ফিক্সিং ইস্যুতে বিপিএল বন্ধও ছিল দুই বছর। শাস্তি পেতে হয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুলের মত তারকা ক্রিকেটারকেও। মুশফিক মনে করেন ফিক্সিং বন্ধ করতে পারেন কেবল খেলোয়াড়রাই, “বোর্ড আছেন এর দায়িত্বে। এরকম যদি কিছু হয়েও থাকলে তা হলে খুবই উদ্বেগজনক। কিন্তু যতদিন আমরা খেলোয়াড়রা সৎ আছি, ততদিন ইনশা আল্লাহ এমন কিছু হবে না।”