তামিমের ব্যাটে ছুটছে চট্টগ্রাম
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইটানস ২০ ওভারে ১৩১/৮ (মাহমুদউল্লাহ ৪২, ওয়েসেলস ২০; ইমরান জুনিয়র ২/২০, তাসকিন ২/২৮)
চিটাগং ভাইকিংস ১৮.৪ ওভারে ১৩৫/৫ (তামিম ৬৬*, জহুরুল ২২; হোম ১/৭, কুপার ১/১৮)
ফলঃ চিটাগং ভাইকিংস ৫ উইকেটে জয়ী
এর আগের ম্যাচেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। আরও একবার আদ্যন্ত ব্যাট করে অপরাজিত থেকেই জয়ের মুহূর্তের সাক্ষী হলেন। তবে আজ পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী তামিম ইকবাল অনেকটাই লাগাম পরিয়ে রেখেছিলেন ব্যাটে। এক প্রান্ত ধরে রেখে করলেন ৫৯ বলে ৬৬ রান। দলকেও এনে দিলেন ৫ উইকেটের জয়।
১০ ম্যাচে ইতিমধ্যে তামিম ইকবালের রান হয়ে গেছে ৩৫১। মুশফিকুর রহিমকে টপকে হয়েছেন শীর্ষ রান সংগ্রাহক। ষষ্ঠ জয় নিয়ে দলকেও তুলে এনেছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। মূলত আজ চট্টগ্রামের হয়ে একাই লড়েছেন তামিম। লক্ষ্যটা আহামরি বড় ছিল না। মাত্র ১৩২ রানের। কিন্তু ক্রিস গেইল ফেরার পর অন্য প্রান্তে সতীর্থদের আসা-যাওয়া এক সময় শঙ্কা জাগিয়েছিল। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ দেননি চট্টগ্রাম অধিনায়ক। ৫ম উইকেট জুটিতে জহুরুল ইসলামের সঙ্গে গড়েছেন ৩৭ রানের জুটি। এরপর মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে যোগ করেন অবিচ্ছিন্ন ৩৪ রান। সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে তিনিই হয়েছেন ম্যাচসেরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খুলনা টাইটানসের হয়ে এবার দারুণভাবে হেসেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট। ১০ ম্যাচে ২৭৯ রান করে রান সংগ্রহের দিক থেকে খুলনা অধিনায়কের অবস্থান তৃতীয়। শুধু তাই নয়। তিনি ছাড়া শীর্ষ পনেরো ব্যাটসম্যানের মধ্যে নেই খুলনার আর কেউই। ফর্মের এই ধারাবাহিকতা আজ চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষেও দেখিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তাঁর ৩৯ বলে ৪২ রানের ইনিংসটি ছাড়া বলার মতো ব্যাটিং করতে পারেননি আর কেউই। এই ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছক্কা। চট্টগ্রামের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন পেসার ইমরান খান জুনিয়র ও তাসকিন আহমেদ।