যেভাবে বেঁচে গেলেন তিনি
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ‘রাখে আল্লাহ্ মারে কে!’ কথাটা হয়তো আবারো প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। কলম্বিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন শ্যাপোকোইন্সে দলের প্রায় সব সদস্যই। দলের কোচ সায়ো জুনিয়রও নিহত হয়েছেন এই ঘটনায়। এই বিমানে থাকতে পারতেন তাঁর ছেলেও! কিন্তু পাসপোর্ট ফেলে আসায় বিমানে উঠতে পারেননি, আর এতেই প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ম্যাথিউস সারোলি।
২৫ বছর বয়সী সারোলিও বাবার সাথে কলম্বিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল। সব গুছিয়ে বিমানবন্দরেও এসেছিলেন। কিন্তু বিমানে ওঠার ঠিক আগ মুহূর্তে খেয়াল করেন পাসপোর্ট বাসায় ফেলে এসেছেন! তখন হয়তো মনটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল তাঁর, বাবার কোচিং ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তটাই তো মিস করতে যাচ্ছেন!
কিন্তু তখন হয়তো ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি, এই পাসপোর্ট ফেলে আসার জন্যই প্রাণে বেঁচে যাবেন! বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ পরই জানা যায়, ক্লাবের মাত্র একজনই জীবিত আছেন। বাবার মৃত্যুর খবরে ভেঙ্গে পড়েছেন সারোলি, “বন্ধুরা, আমি এবং আমার মা, ভাই সুস্থ আছি। আমাদের একটু প্রাইভেসি এবং শক্তি দরকার, বিশেষ করে আমার মায়ের। সবাইকে আমাদের খোঁজ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি আজ সাও পাওলোতেই ছিলাম কারণ পাসপোর্ট ভুলে যাওয়ার কারণে বিমানে উঠতে পারিনি।”
এদিকে ইনজুরির কারণে দলের সাথে যোগ দিতে পারেননি স্ট্রাইকার আলেজান্দ্রো মারটিনুসিও। সতীর্থদের সাথে তিনিও হয়তো মারা যেতে পারতেন। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও খুব কঠিন সময় পার করছেন বলেও জানিয়েছেন। ফক্স স্পোর্টস এর ধারাভাষ্যকার এডমুন্ডেরও ওই বিমানে থাকার কথা ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে নিজের বদলি হিসেবে মারিও সারজিওকে পাঠিয়েছিলেন। মারিওকেও চলে যেতে হয়েছে পৃথিবী ছেড়ে।