সাঙ্গার সঙ্গে কিছুটা চাপে থাকেন মারুফ
এখন পর্যন্ত বিপিএলে সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ প্যাকেজে তাঁর নামটাই শুরুর দিকে থাকবে। বরিশাল বুলসের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে ৭৫ রান দিয়ে শুরু। এরপর মাত্র দুই ম্যাচেই শুধু দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি, বিপিএলে তাঁর চেয়ে বেশি রান আছে শুধু তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের। তবে অন্য ম্যাচে এমন শুরুর ঝড়টা একাই এনে দিয়েছিলেন, আজ মেহেদী মারুফ একটু দর্শকই হয়ে ছিলেন। এভিন লুইসের তাণ্ডবটা তো ক্রিজেই দেখেছেন। মারুফ জানাচ্ছেন, ব্যাপারটা উপভোগই করেছেন। রান বাড়ানোর জন্য তাঁর দিকে তেমন কোনো চাপ ছিল না, বলেছেন সেটাও।
এখন পর্যন্ত বিপিএলে বেশির ভাগ ম্যাচে কুমার সাঙ্গাকারাকেই ওপেনিংয়ে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন। কিংবদন্তি সতীর্থের তুলনায় এবার অনেক বেশিই হেসেছে তাঁর ব্যাট। মারুফের রান ৩০৭, সাঙ্গাকারা ২৩১ রান নিয়ে বেশ কিছুটা পিছিয়ে। তবে শুধু রাজশাহী কিংসের ম্যাচেই দুজনের ব্যাট একসঙ্গে হেসেছে, ওই ম্যাচে দুজন এনে দিয়েছিলেন ৭১ রানের জুটি। সাঙ্গাকারার সর্বোচ্চ রান ছিল ওই ইনিংসেই। স্ট্রাইকরেটেও মারুফ (১৪৫) সাঙ্গাকারার (১১৩) চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে।
তবে আজ শুরুর ঝড়টা এনে দিয়েছিলেন লুইস। প্রথম উইকেটে দুজন ১০৩ রানের জুটি গড়েছিলেন, তখন মারুফের রান ছিল ৪০। ৩৪ বলে ৭৫ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন লুইস। মারুফ বলেছেন, অন্য প্রান্তে সতীর্থ ঝড় তোলায় তাঁর কাজটা সহজ হয়ে গেছে, লুইসের সঙ্গে খেলাটা আমি উপভোগ করেছি।“ সাঙ্গাকারার চেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনারের সঙ্গে খেলার পার্থক্যও ব্যাখ্যা করলেন, প্রতিটা ম্যাচ আমি আর সাঙ্গাকারা মিলেই শুরু করেছি। আমার রানই বেশি থাকত। একটা ধরনে খেলতে হতো, সেটাতে আমি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম, আমাকে বোধ হয় এভাবেই শুরু করতে হবে। আজ অতটা প্রেশার ছিল না। একটু বেটার ফিল করেছি।”