অ্যাশেজেও দিবারাত্রির টেস্ট?
‘গোলাপি’ বলের টেস্ট নিয়ে শুরু থেকে তর্ক বিতর্ক কম হয়নি। দর্শক কি গ্রহণ করতে পারবে কৃত্রিম আলোতে খেলা টেস্ট? এরকম প্রশ্ন ছিল সবার মুখে মুখে। তবে নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে সবকয়টি দিবারাত্রির টেস্টেই দর্শক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কিছুদিন আগে অ্যাডিলেডে হয়ে গেলো আরেকটি দিবা রাত্রির টেস্ট। অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের এই ম্যাচে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখের মতো দর্শক এসেছিল! এই অভাবনীয় সাফল্যের পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এই নতুন ফরম্যাটকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, আগামী বছরের অ্যাশেজ সিরিজের একটি ম্যাচ নাকি গোলাপি বলে খেলা হবে!
শত বছরের পুরনো এই লড়াইয়ে ‘গোলাপি বল’? হুট করে এত বছরের প্রথা ভেঙ্গে ফেলা কি ঠিক হবে? এরকম প্রশ্ন এরই মাঝে উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের সাথে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে, “দিবা রাত্রির টেস্টের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে খেলার সাথে দর্শকের সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানো, কাজ এবং স্কুল শেষ করে খেলা দেখতে আসার সুযোগ করে দেয়া। প্রায় দেড় লাখের মতো দর্শক অ্যাডিলেডে এসেছিল। এই ফরম্যাটের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনেক আশাবাদী সবাই। অ্যাশেজ একটি দারুণ প্রতিযোগিতা, প্রচুর দর্শকের আগ্রহ রয়েছে এটা নিয়ে।”
যদিও এই বছরের জুনে অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বলেছিলেন, গোলাপি বলের অ্যাশেজ খেলার পক্ষপাতী নন, “আমার মনে হয় লাল বলের অ্যাশেজই ভালো। এটা শতবছর ধরে চলে আসছে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেললে এমনিই অনেক দর্শক পাওয়া যায়। তাই আমার মনে হয় দর্শক কোন ইস্যু নয়। তবে দেখা যাক কী হয়!” ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকও স্মিথের সাথে একমত। আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম দিবা রাত্রির টেস্ট খেলবেন কুকরা।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তা সাদারল্যান্ড অবশ্য স্মিথ-কুকের বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন, “ আমি স্মিথ ও কুকের বক্তব্যকে সম্মান করি। অ্যাশেজ অবশ্যই দারুণ একটি সিরিজ এবং প্রচুর দর্শক টিভি ও মাঠে খেলা দেখে। কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে, দিবারাত্রির টেস্ট খেললে আমরা আরও অনেক বেশি দর্শক টানতে পারবো আমরা।”