অবশেষে জয়ের মুখ দেখল বরিশাল
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল বুলস ২০ ওভারে ১৬১/৪ (মালান ৫৬, মাহমুদ ৪৩, পেরেরা ২৯*; সামি ১/১৬, ফরহাদ ১/৩২)
রাজশাহী কিংস ২০ ওভারে ১৪৪/৭ (সামিত ৬২, ফ্র্যাঙ্কলিন ১৮; এমরিট ৩/২৭, এনামুল ১/৬)
ফলঃ বরিশাল বুলস ১৭ রানে জয়ী
টানা ছয় ম্যাচ হারার পর অবশেষ জয়ের ধারায় ফিরেছে বরিশাল বুলস। রাজশাহী কিংসকে ১৭ রানে হারিয়ে নিজেদের চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল। পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে এক ধাপ এগিয়ে উঠেছে ষষ্ঠ অবস্থানে।
আগের ম্যাচটি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হারার পর ভীষণ বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন বরিশাল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বলেছিলেন, ‘এই দল নিয়ে যে তিনটি ম্যাচ জিতেছি সেটাই অলৌকিক ব্যাপার।” অধিনায়কের উষ্মা শুনে কিছুটা টনক নড়েছে বরিশালের খেলোয়ারদের। মাঠে আজ তারই প্রদর্শন দেখা গেল।
টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রাজশাহী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। শুরুতেই ওপেনার জীবন মেন্ডিসের উইকেটটি হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে শক্ত ভিত্তি পায় বরিশাল বুলস। ৭১ বলে ১০০ রানের জুটি গড়েন ডেভিড মালান ও ফজলে মাহমুদ। দারুন আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন মালান। ৩৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। তাঁর সঙ্গী মাহমুদ করেন ৪৩ বলে ৪৩ রান। ফরহাদ রেজার করা চতুর্দশ ওভারে দুজনই ফিরে গেলে শেষের দিকে ২২ বলে অপরাজিত ২৯ রান করেন থিসারা পেরেরা। এর ফলেই শেষ পর্যন্ত দলের রান দাঁড়ায় ১৬১ তে।
১৬২ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে সামিত প্যাটেল ছাড়া দাঁড়াতে পারেননি রাজশাহীর আর কোনো ব্যাটসম্যানই। ৪৯ বলে ৬২ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। তাতে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছক্কা। ৫ম উইকেটে রাজশাহীর ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রানের জুটি গড়ে ওঠে সামিত প্যাটেল ও জেমস ফ্র্যাঙ্কলিনের মধ্যে। শেষের দিকে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর জেতা হয়নি রাজশাহীর। ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রায়াদ এমরিট।