মাশরাফি-স্যামুয়েলসে কুমিল্লার জয়
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইটানস ২০ ওভারে ১৪১/৬ (মাহমুদউল্লাহ ৪০*, হাসানুজ্জামান ২৯; মাশরাফি ৩/১৬, শরীফ ১/২৭)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১৮.৪ ওভারে ১৪২/৫ (স্যামুয়েলস ৬৯*, লিটন ২৪*; হাওয়েল ২/২৫, মোশাররফ ১/২১)
ফলঃ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৫ উইকেটে জয়ী
পরাজয়ের আবর্ত থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। হয়তো একটু দেরিতে, তবুও দুর্দান্ত এই ঘুরে দাঁড়ানো। বল হাতে প্রথমে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর ব্যাটিংয়ে আলো ছড়ালেন মারলন স্যামুয়েলস। তাঁদের যুগলবন্দিতে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা পেল টানা তৃতীয় জয়। খুলনা টাইটানসকে আজ ৫ উইকেটে হারিয়েছে গোমতী তীরের দলটি।
আগের ম্যাচেই রাজশাহী কিংসের অপরাজিত ৫৫ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন মারলন স্যামুয়েলস। সেখান থেকেই যেন আজকের ম্যাচ শুরু করেছেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। পালন করলেন একই দায়িত্ব। ৫৭ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংসে ৮টি চার মেরেছেন তিনি। বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও ঝড় তুলেছিলেন কুমিল্লা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ১১ বলে ২০ রানের ইনিংসে ৩টি ছক্কা মেরে গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের দারুণ বিনোদিত করেছেন। শেষের দিকে ১১ বলে অপরাজিত ২১ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন লিটন দাস। খুলনার হয়ে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও দারুণ তিনটি ক্যাচ নিয়েছেন শুভাগত হোম। বিপিএলে এক ্ম্যাচে এর চেয়ে বেশি ক্যাচ আর কেউ নেননি।
টসে জিতে খুলনা টাইটানসকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কুমিল্লা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। পুরো কুড়ি ওভার ব্যাট করে ১৪১ রান করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। সর্বোচ্চ ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তিনি ছাড়া খুলনার বাকি ব্যাটসম্যানরা ভালো শুরু পেলেও শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর গড়তে পারেননি। দুর্দান্ত বল করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৪ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। বিপিএলে বাংলাদেশ অধিনায়কের এটাই সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য এরচেয়ে ভালো বোলিংয়ের রেকর্ড আছে তাঁর। ২০১২ সালে বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ১৯ রানে ৪ উইকেট। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ শহীদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও রশিদ খান।