ব্রাভো-রাসেলের রাতে ম্লান গেইল
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগং ভাইকিংস ২০ ওভারে ১৩৪/৬ (তামিম ৭৪, মালিক ৩৩; ব্রাভো ৩/২৭, বিটন ২/৩০)
ঢাকা ডায়নামাইটস ১৮.২ ওভারে ১৩৫/৪ (সাঙ্গাকারা ৩৫, বাবু ৩৩*; নবী ১/২, মালিক ১/২৩)
ফলঃ ঢাকা ডায়নামাইটস ৬ উইকেটে জয়ী
সাজ সাজ রব ছিল। গ্যালারি ভর্তি দর্শক ছিল। তারকায় ঠাসা দুটি দল ছিল। ছিলেন বিশ্ব ক্রিকেটের মহাতারকা ক্রিস গেইল। কিন্তু টি-টোয়েন্টি যে কারণে চাঞ্চল্য জাগায়, সেটাই দেখা গেল না! ঢাকা-চট্টগ্রামের মহারণে দেখা গেল না চার-ছক্কার অবারিত প্রবাহ। ঢাকা ডায়নাইটস ও চিটাগং ভাইকিংসের লড়াইয়ে ৬ উইকেটে জিতেছে সাকিব আল হাসানের দল।
১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মেহেদী মারুফের উইকেট হারায় ঢাকা ডায়নামাইটস। এরপর দ্রুতই ফিরে যান নাসির হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন। কিন্তু তারপরও কোন বিপদ হয়নি সাকিব আল হাসানের দলের। অন্য প্রান্ত আগলে যে ছিলেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা। গত ম্যাচে বিস্ফোরক ব্যাটিং করা এভিন লুইসের জায়গায় ফিরে এসে ৩৫ রান করেছেন তিনি। বাউন্ডারি থেকে জাকির হোসেনের করা এক দুর্দান্ত থ্রোতে আউট হয়ে গেছেন। পঞ্চম উইকেটে ৩১ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৭ রানের জুটি গড়ে ঢাকাকে জয় এনে দেন আলাউদ্দিন বাবু ও আন্দ্রে রাসেল। দুজন মিলে মেরেছেন ৫টি বিশাল ছক্কা। এরমধ্যে আন্দ্রে রাসেলের মারা একটি ছক্কাকে অনায়াসে এবারের বিপিএলের সবচেয়ে বড় ছক্কা বলে রায় দেয়াই যায়। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন চট্টগ্রামের মোহাম্মদ নবী, তামিম ইকবাল ও ইমরান খান জুনিয়র।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুড়ি ওভারে ১৩৪ রান করে চট্টগ্রাম। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই অনেকটা আলো কেড়ে নিয়েছিলেন ক্রিস গেইল। নজর ছিল তামিম-গেইলের ওপেনিং জুটির ওপর। তাতে গেইল অনুজ্জ্বল হলেও দারুণভাবেই জ্বলে উঠেছেন তামিম। ৫৯ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তামিম। মেরেছেন ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা। ১ রানের জন্য এবারের বিপিএলে নিজের সর্বোচ্চ রানটি স্পর্শ না করতে পারলেও ৪২৫ রান নিয়ে রান সংগ্রহের তালিকায় নিজের শীর্ষ অবস্থানকে করেছেন আরো সংহত। তামিম ছাড়া একমাত্র ব্যাট হাতে নিজের দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করেছেন শোয়েব মালিক। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ৮৬ রানের জুটি। তাঁরা ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি চিটাগং ভাইকিংসের আর কোনো ব্যাটসম্যানই। ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ডোয়াইন ব্রাভো। তিনিই হয়েছেন ম্যাচসেরা।