অবশেষে রংপুরের হাসি, বরিশালের বিদায়
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (শাহজাদ ৪৮, মিথুন ৩৮; পেরেরা ২/২৬, রাব্বি ২/৩৯)
বরিশাল বুলস: ১৮.২ ওভারে ১২৫ (মালান ৩০, পেরেরা ২৪; ডসন ২/১১, রাব্বি ২/১২)
ফল: রংপুর ২৯ রানে জয়ী
আগের ম্যাচেই মুশফিকুর রহিম ঘোষণা দিয়েছিলেন, নিজেদের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে হলে বরিশাল সম্ভাব্য সবকিছুই করবে। রংপুরের সঙ্গে ম্যাচটা শুধু জিতলেই চলত না, রানরেটও বাড়িয়ে নেওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু সেটা তো করতে পারলই না, ২৯ রানে হেরে বিপিএল থেকে বাদ পড়াটা নিশ্চিত করল বরিশাল। কুমিল্লারও বিদায়ঘণ্টা বাজল সেই সঙ্গে। টানা চার হারের পর জয়ের ধারায় ফিরে প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা উজ্জ্বল করল রংপুর।
আগের ম্যাচেই ইলিয়াস সানি এসে বলে গিয়েছিলেন, বার বার অধিনায়ক বদলানোটা দলের জন্য একটু সমস্যাই হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবশেষে চোট কাটিয়ে নিয়মিত অধিনায়ক নাঈম ইসলাম আবার টস করেছেন। রংপুরও তাই ফিরে পেয়েছে নিজেদের।
তবে ভালো শুরু করতে করতে আরও একবার পথ হারিয়েছেন সৌম্য সরকার। এক ওভারে চার-ছয় মেরে ফিরে গেছেন ১৭ রানে, এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ২৬। তবে ফর্মে থাকা শাহজাদ এরপর মিথুনকে নিয়ে ধীরে ধীরে দলকে টেনে তুলেছেন। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ৭৬ রানের জুটিই পথ দেখিয়েছে রংপুরকে। শেষদিকে নেমে জিয়াউর রহমান ১৭ বলে করেছেন ২৩। রংপুর শেষ পাঁচ ওভারে তুলতে পেরেছে ৪৫ রান।
বরিশাল শুরুতেই একটা ফাটকা খেলেছিল। জীবন মেন্ডিসের সঙ্গে নামিয়ে দিয়েছিল রায়াদ এমরিতকে। কিন্তু সেটি কাজে আসেনি, প্রথম ওভারেই আউট হয়ে যান এমরিত। পরের ওভারেই সোহাগ গাজীকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান মুশফিক। ডেভিড মালান, ফজলে মাহমুদ, থিসারা পেরেরাদের সবাই শুরুটা ভালো করেছিলেন। কিন্তু কেউই ক্রিজে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। বরিশালও উইকেট হারাতে থাকে নিয়মিত বিরতিতে। শেষ পর্যন্ত ১৮.২ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে।