অবিশ্বাস্য অভিষেকে আফিফের যত রেকর্ড
শুরুতেই গেরোটা লাগিয়ে দিয়েছিলেন ড্যারেন স্যামি। টসের সময় রকিবুল হাসানের জায়গায় “হাসান” দলে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। ম্যাচ শুরু হতে জানা গেল, ইনি আসলে হাসান নন, হোসেন। আফিফ হোসেন ধ্রুব নামের এই ১৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার কে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল অনুচ্চারে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সহ অধিনায়ক, বয়সভিত্তিক দলেও আগে খেলেছেন- এতটুকুই জানা গেছে। রাজশাহীর দলের সঙ্গেও চট্টগ্রাম পর্ব থেকে ছিলেন। কিন্তু কে জানত, অভিষেকে এভাবে চমকে দেবেন!
সেই বিস্ময় আরও বাড়ল ম্যাচের পঞ্চম ওভারে। জহুরুলের সঙ্গে ক্রিজে ক্রিস গেইল, পাওয়ারপ্লেতে আনকোরা একজন বোলারকে কি না নিয়ে এলেন স্যামি! প্রথম দুই বলে দুই চারের পর স্যামির সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তখন প্রশ্নও উঠতে শুরু করল। কিন্তু পরের বলেই আফিফ ফিরলেন, জহুরুল এলবিডব্লু। যদিও কৃতিত্বটা আফিফের চেয়েও বেশি আম্পায়ারের। বলটা যে ব্যাটে লেগে প্যাডে লেগেছে, স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল।
তবে আফিফ সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দিলেন পরের ওভারে। প্রথম দুই বলে গেইল কোনো রান নিতে পারেননি। তৃতীয় বলটা একটু সামনে এগিয়ে এসে লাইন মিস করে বোল্ড গেইল!
কে জানত, পরের দুই ওভারে আরও চমক উপহার দেবেন আফিফ? তৃতীয় ওভারে তুলে মারতে গিয়ে আউট জাকির হাসান। শেষ ওভারে তো সবচেয়ে ভয়ঙ্কর আফিফ। কোনো রান না নিয়েই ফিরিয়ে দিলেন সাকলাইন সজীব ও ইমরান খানকে। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে শেষ করলেন বোলিং। হয়ে গেল নতুন কিছু রেকর্ডও।
আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো ১৮ বছর হয়নি, টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেকের কীর্তি আরও অনেক আছে। তবে তাঁর মধ্যে আফিফের বোলিংই সেরা। টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকে ছয় উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে শুধু একজনেরই। মাইকেল ডিগটন তাসমানিয়ার হয়ে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টি অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে আরও ১৫ জনের।
তবে বিপিএল অভিষেকে এটাই সেরা বোলিং। এ আসরেও এখন পর্যন্ত এটাই সেরা বোলিংয়ের কীর্তি, ছাড়িয়ে গেছেন রাজশাহী সতীর্থ আবুল হাসানের ৫ উইকেটে ২৮ রানের রেকর্ড। সব মিলে বিপিএলে এর চেয়ে ভালো বোলিংয়ের কীর্তি আছে শুধু দুজনের। মোহাম্মদ সামি ৫ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট, কেভন কুপার ১৫ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।