বোলিং নয়, ব্যাটিংই ধ্যানজ্ঞান আফিফের
চোখেমুখে লেগে আছে কৈশোরের আভা। আফিফ হোসেনকে হুট করে দেখলে মনে হবে, স্কুলপড়ুয়া ছেলেটা ভুল করে সংবাদ সম্মেলনে চলে এসেছে। রাজশাহী কিংসের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেকেই নিয়েছেন ৫ উইকেট। তবে আফিফ জানাচ্ছেন, বোলিংটা তাঁর মূল কাজই নয়!
রাজশাহীর হয়ে আফিফের অভিষেকটা হয়েছে "এলাম, দেখলাম, আর জয় করলাম।" টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই সবচেয়ে কম বয়সে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি হয়ে গেছে। টি-টোয়েন্টি অভিষেকেই তাঁর চেয়ে বেশি উইকেট পাওয়ার কীর্তি আছে শুধু একজনের। তার ওপর অ্যাকশনেও সমস্যা ছিল। আফিফ জানিয়েছেন, সেটা শুধরে নিয়েই বল করেছেন বিপিএলে। তবে বোলিংটা তাঁর মূল কাজ নয়, "প্রত্যাশা বোলিংয়ে বেশি থাকবে না। আমি মূলত ব্যাটসম্যান। আমার ব্যাটিং আগে, এরপর বোলিং।"
কিন্তু পঞ্চম ওভারে যখন বল হাতে পেলেন, একপাশে ছিলেন ক্রিস গেইল। আফিফের তখন কেমন লাগছিল? বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সহ অধিনায়ক জানাচ্ছেন, "একটু তো নার্ভাস লাগছিলই, গেইলের সামনে বল করছি। পরে উইকেট পাওয়ার পর সেটা কেটে গেছে।" ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে গেইলের উইকেট পেলে অবশ্য সেই স্নায়ুচাপ থাকার কথাও নয়।
কিন্তু অভিষেকেই এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ের রহস্য কী? আফিফ জানাচ্ছেন, "ড্যারেন স্যামি বলেছিল, নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে। মিরাজ ভাই ম্যাচের আগে বলেছিল, কোনো কিছু দেখবি না, জায়গায় বল করে যাবি। ওটা ধরে রেখেছি বলে ভালো করেছি। আমি পরিকল্পনা ছিল জায়গামতো বল করে যাওয়া।"
আপাতত ধুমকেতুর মতো অভিষেক হলেও আফিফ হোসেন ধ্রুব নিশ্চয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের ধ্রুবতারাই হতে চাইবেন!