কুমিল্লার হাত ধরে শেষ চারে রাজশাহী
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ২০ ওভারে ১৭০/৬ (ইমরুল ৫২, লতিফ ৪৩, স্যামুয়েলস ৩০; সানি ২/২৯,রুবেল ২/৩০)
রংপুর রাইডার্স ২০ ওভারে ১৬২/৮ (শেহজাদ ৪৫, আফ্রিদি ৩৮, জিয়া ৩৮*; রশিদ ৩/১৩, মাশরাফি ২/২৭)
ফলঃ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৮ রানে জয়ী
রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচটির ওপর বোধহয় সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য ছিল রাজশাহী কিংসের। সমর্থনের কাঁটাটি হেলে ছিল কুমিল্লার প্রতি। মাশরাফি বিন মুর্তজার দল জিতলেই যে নিশ্চিত হবে ড্যারেন স্যামিদের কোয়ালিফায়ার পর্বে যাওয়া। ম্যাচ শেষে হাসলেন মাশরাফি। হাসালেন স্যামিকেও। বিপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৮ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
অবশ্য এই পরাজয়ের সাথে সাথে শেষ হয়ে যায়নি রংপুর রাইডার্সের সম্ভাবনা। পরের পর্বে উৎরাতে তাদের চোখ রাখতে হবে খুলনা টাইটানস ও ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যাচটির ওপর। সে ম্যাচে ঢাকা জিতলেই রান রেটে এগিয়ে থেকে পরের পর্বে যেতে পারবে রংপুর।
১৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪৮ রান তোলেন মোহাম্মদ শেহজাদ ও সৌম্য সরকার। যাতে সিংহভাগ অবদান রংপুরের আফগান ওপেনারের। ১২ বলে ৫ রান করে সৌম্য ফিরে যাওয়ার পর সহসাই ধস নামে রংপুরের টপ অর্ডারে। ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুন ও লিয়াম ডসন। এরপরই নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন শহীদ আফ্রিদি। ১৯ বলের ঝড়ো ইনিংসে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করেন আফ্রিদি। রশিদ খানের বলে লিটন দাস তাঁকে স্টাম্পিং করে ফিরিয়ে দিলে আস্তে আস্তে কমতে থাকে রংপুরের জয়ের সম্ভাবনা। ২২ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত যথেষ্ঠ হলো না রংপুরের জয়ের জন্য। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান। দুর্দান্ত বল করেছেন মাশরাফিও। ২৭ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন মোহাম্মদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ মিঠুনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট দুটি।
টসে জিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রংপুর অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। উদ্বোধনী জুটিতে কুমিল্লাকে দুর্দান্ত সুচনা এনে দেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও খালিদ লতিফ। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৮৮ রানের জুটি। দুজনের মধ্যে উজ্জ্বল ছিলেম ইমরুল কায়েস। বিপিএলের শেষার্ধে এসে অবশেষে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ ওপেনার। তুলে নিয়েছেন নিজের প্রথম ফিফটি। ৩৫ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন ইমরুল। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন লতিফ। তাঁরা দুজনই আরাফাত সানির শিকার হলে মারলন স্যামুয়েলস ও আসহার জাইদি শেষ পর্যন্ত দলকে নিয়ে যান ১৭০ রানে। বল হাতে দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখেছেন রংপুর রাইডার্সের দুই বোলার আরাফাত সানি ও রুবেল হোসেন। দুজনই পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। এ নিয়ে ১২ ম্যাচে রুবেল হোসেনের উইকেট দাঁড়ালো ১৫টি। আরাফাত সানির ১৩টি।