বিপিএলে ভালো করলেই নিউজিল্যান্ডে করা যাবে না
এবারের বিপিএলে ব্যাটে-বলে নজর কেড়েছেন অনেকেই। এঁদের মধ্যে যেমন আছেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা, তেমনি আছেন আনকোরা কিছু নবীন মুখ। তবে বিপিএলের সাফল্য নিয়ে খুব উচ্ছ্বসিত নন মাশরাফি বিন মুর্তজা, “নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে এখানের কন্ডিশনের কোনো মিল নেই। যদি মনে করেন এখানে ভালো খেলেছে বলে ওখানেও খেলবে সেটা হবে না।”
বিপিএলে কোন খেলোয়াড় ভালো করলেই বাড়ে সমর্থকদের প্রত্যাশার পারদ। কিন্তু ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের মাধ্যমে কাউকে পরিমাপ করতে রাজি নন বাংলাদেশ অধিনায়ক, “কয়েকজন আছে যারা বেশ ভালো পারফর্ম করেছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি দিয়ে যদি আপনি আরো বড় পরিসরের দিকে তাকান আমার মনে হয় খেলোয়াড়ের সঙ্গেই অন্যায় করা হবে। প্রথমত টি-টোয়েন্টি দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি কোন খেলোয়াড়কে বিবেচনা করি না। এই টুর্নামেন্টে চাপ থাকে। তারপরও বলা কঠিন। এখানে যারা ভালো করছে তাদের যদি ঘষে-মেজে নেওয়া যায় সেটা আলাদা ব্যাপার। কিন্তু চাপের কথা যদি বলেন তাহলে পার্থক্যটা উনিশ-বিশ নয়, অনেক অনেক বেশি।”
তবে তারপরও কিছু প্রাপ্তি তো থাকেই। বাংলাদেশ অধিনায়ক সেদিকেই ইঙ্গিত করলেন, “হয়তোবা কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। তবে আমরা যে ক্রিকেট খেলতে যাবো সেটার সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। যদি মনে করেন এখানে ভালো খেলেছে বলে ওখানেও খেলবে সেটা হবে না।কারণ প্রথমত সেখানে কন্ডিশন আলাদা, উইকেট আলাদা। বরং যেটা বলেছি, ওখানে রান করা আরো সহজ। সুতরাং যারা রান করেছে তারা হয়তো আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হতে পারে। বোলিং এখান থেকে ওখানে আরো কঠিন হবে। বোলারদের আরও কাজ করতে হবে। তবে উইকেট যারা পাচ্ছে বা রান করছে এটা অবশ্যই কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।”
নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন সম্পর্কে মাশরাফি বলেছেন, “এখন উইকেটগুলো আর সেরকম নেই। বরং বাংলাদেশেই এখন রান করা কঠিন। আমরা নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া- সাউথ আফ্রিকা শুনলেই ভাবি বোধহয় সিমিং কন্ডিশন। আসলে সেরকম কিছুই থাকে না। ওসব উইকেটে ৩৫০-৪০০ রান করে খেলা হয়। এমন উইকেটে শট খেলতে ব্যাটসম্যানদের অনেক সুবিধা হয়। হয়তোবা ওয়ানডেতে প্রথম ৫-৭ ওভার একটু দেখে খেলতে হয়। টেস্টে অবশ্যই একটু আলাদা হবে। আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানদের জন্য এখান থেকে ওখানেই রান করা আরো সহজ হবে। যদি মানসিক প্রস্তুতি ঠিক থাকে।”