রংপুরকে হতাশ করে শেষ চারে খুলনা
ঢাকা ডায়নামাইটস ২০ ওভারে ১৫৮/৭ (সাঙ্গাকারা ৫৯, মোসাদ্দেক ২০; জুনায়েদ ৩/২২, হাওয়েল ১/১৪)
খুলনা টাইটানস ১৮ ওভারে ১৫৯/৭ (মাহমুদউল্লাহ ৫০, হাসানুজ্জামান ৪০; বোপারা ২/১৭, হায়দার ১/১৪)
ফলঃ খুলনা টাইটানস ৬ উইকেটে জয়ী
রংপুর-কুমিল্লার ম্যাচে যেমন কৌতুহলী চোখ ছিল রাজশাহী কিংসের, তেমনি ঢাকা-খুলনা ম্যাচ নিয়ে একইরকম আগ্রহ ছিল রংপুর রাইডার্সের। এই ম্যাচে খুলনার হার-জিতের ওপরই যে নির্ভর করছিল তাদের কোয়ালিফায়ারে উত্তরণ। কিন্তু নাঈম ইসলামের দলকে হতাশ করে শক্তিশালী ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ১২ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে পরের পর্বে নিয়ে গেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
১৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আন্দ্রে ফ্লেচারের উইকেটটি হারিয়ে বিপদে পড়ে খুলনা। কিন্তু দারুণভাবে রুখে দাঁড়ান তাঁরই ওপেনিং সঙ্গী হাসানুজ্জামান। ১৯ বলে ৪০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন ২৫ বছর বয়সী তরুণ। তাতে ছিল ৩টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কা। দলীয় ৬১ রানের মাথায় তিনি ফিরে গেলেও দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ। ২৮ বলে ৫০ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। মেরেছেন ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। তানভীর হায়দারের বলে মেহেদী মারুফের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে তিনি ফিরে গেলেও কোনো বিপদ ঘটতে দেননি বেনি হাওয়েল। বল হাতে ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও ১৬ বলে ২৬ করেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পেয়েছেন রবি বোপারা।
পরের পর্বে আগেই উঠে গিয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। মেহেদী মারুফ ও কুমার সাঙ্গাকারার ৫৮ রানের ওপেনিং জুটিতে ভালো একটা সূচনা পায় তারা। ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি। তাঁর ইনিংস ছিল ৮টি চারে সাজানো। টপ ও মিডল অর্ডারের অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা ভালো শুরু পেলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেননি। খুলনা টাইটানসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন জুনায়েদ খান।
৬ ডিসেম্বর প্রথম কোয়ালিফায়ারে এই দল দুটিই পরস্পরের মুখোমুখি হবে।