শেষ মূহুর্তের গোলে কপাল পুড়ল ইউনাইটেডের
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতেরিয়ানকে বসিয়ে মরিনহো মাঠে নামান ফেলানিকে। ম্যাচে এক গোলে এগিয়ে থেকে রক্ষণে মনোযোগ বাড়াতেই আক্রমণভাগের এক খেলোয়াড় বদলী করে সাবেক এভারটন মিডফিল্ডারকে নামানো। প্রথমার্ধের ইব্রাহিমোভিচের গোলে এগিয়ে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ওই এক গোলের লিড ধরে রেখেই অনেকদিন পর জয়ের স্বপ্ন দেখছিল।
তবে শেষ পর্যন্ত আর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি মরিনহোর। শেষ মূহুর্তে গোল হজম করে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। মাঠে নামার তিন মিনিটের মাঝেই নিজের সাবেক দল এভারটনকে পেনাল্টি উপহার দিয়ে ম্যাচে সমতায় ফেরার সুযোগ করে দেন ফেলানি। পেনাল্টি থেকে ৮৮ মিনিটে গোল করেন বেইনস। আর তাতেই ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে।
এর আগে প্রিমিয়ার লিগের শেষ সাত ম্যাচে ইউনাইটেডের জয় ছিল মাত্র একটিতে। অধারাবাহিক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ এভারটনের অবস্থাও ছিল অনেকটা একইরকম। গুডিসন পার্কের ম্যাচে তাই লড়াইয়ের আভাস ছিল আগে থেকেই। এই মাঠে গত চার দেখার তিনটিতেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছিল মার্সি সাইডের দলটি।
প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে মারশিয়ালের বাড়ানো বল এগিয়ে আসা এভারটন গোলরক্ষক স্টেকেলেনবার্গের মাথার ওপর দিয়ে পাঠিয়ে গোল করেন ইব্রাহিমোভিচ। টানা ৬ ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পর এটি ছিল সুইডিশ স্ট্রাইকারের শেষ তিন ম্যাচে চতুর্থ গোল। ইব্রাহিমোভিচের ফর্মে ফিরে আসাকে পুঁজি করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও জয়ের ধারায় ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছিল। তবে গুডিসনের পার্কে জয়হীন থাকার রেকর্ডটাই অটুট থাকল। এবার তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াল পেনাল্টি। ম্যাচ শেষে বিরক্ত মরিনহোও "নো কমেন্টস" বলে এড়িয়ে যেতে চাইলেন শেষ মূহুর্তে গোল হজম করার ব্যাপারটি।
একই সাথে অবশ্য নিজের দলকে যোগ্য হিসেবে দাবি করে মরিনহো বলেছেন জয়টা তাঁদের প্রাপ্যই ছিল। তবে ইব্রাহিমোভিচের ওই গোল আর হেরেরার বারপোস্টে বল লাগানো ছাড়া বলার মতো তেমন আক্রমণ ছিল কমই। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে এভারটনের শুরুটা ছিল দারুণ। বেশ কয়েকবার ডি গিয়া বাধা হয়ে না দাঁড়ালে আরও আগেই সমতায় ফিরতে পারত এভারটন।