• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ছক্কায় সাজানো বিপিএল

    ছক্কায় সাজানো বিপিএল    

    টি-টোয়েন্টি মানেই ছক্কার উৎসব। বাউন্ডারির বৃত্তের বাইরে বল পাঠানোর প্রতিযোগিতা। এইজন্যই বোধহয় ‘লাঠিয়ালের খেলা’ হিসেবে এর একটা খ্যাতি আছে। এবারের বিপিএলেও বয়েছে ছক্কার বন্যা। বোলারদের ক্লান্ত করে বল পেটানোর প্রতিযোগিতায় মেতেছেন ব্যাটসম্যানেরা। ১৯টি ছক্কা নিয়ে যার শীর্ষে আছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের বিস্ফোরক ওপেনার মেহেদী মারুফ।

    এবারের বিপিএলের অন্যতম আবিষ্কার মেহেদী মারুফ। ঢাকা ডায়নামাইটসের ওপেনার পছন্দ করেন ডাকাবুকো ব্যাটিং করতে। বলটাকে মনে করেন পেটানোর জিনিস। ১২ ম্যাচে ১৯ ছক্কায় এবারে ৩৩২ রান করেছেন তিনি। পরিষ্কার শটে ছক্কা মারার যে ক্ষমতা তিনি দেখিয়েছেন তাতে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে দেখা যেতেই পারে।

    ১৫টি ছক্কা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন রাজশাহী কিংসের দুই ব্যাটসম্যান। তাঁরা হলেন সাব্বির রহমান ও ড্যারেন স্যামি। এর মধ্যে সাব্বির বরিশাল বুলসের বিপক্ষে খেলা ৬১ বলে ১২২ রানের ইনিংসটিতেই মেরেছিলেন ৯টি ছক্কা। বাকি ১১টি ম্যাচে তাঁর ছয়ের সংখ্যা ৬টি। খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে অপরাজিত ৭১ রান করার দিন এর ৫টি ছক্কা মেরেছিলেন স্যামি।

    এঁদের চেয়ে তিন ম্যাচ কম খেলে ১৪টি ছক্কা মেরেছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের সেকুগে প্রসন্ন। তিনি আছেন তিন নম্বরে।  খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ২২ বলে ৫৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলার দিন তিনি মেরেছিলেন ৭টি ছক্কা। ১২ ম্যাচে সমান সংখ্যক ছক্কা মেরে তাঁর সঙ্গেই আছেন খুলনা টাইটানস অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

    ১২ ম্যাচে ১৩ ছক্কা মেরেছেন রংপুর রাইডার্সের মোহাম্মদ মিঠুন। চিটাগং ভাইকিংসের আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী মেরেছেন ১২ ম্যাচে ১২টি ছক্কা।

    ১১টি ছক্কা মেরেছেন তিনজন। তাঁরা হলেন বরিশাল বুলসের ডেভিড মালান, রংপুর রাইডার্সের মোহাম্মদ শেহজাদ ও চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৮ রান করার ম্যাচে ৭টি ছক্কা মেরেছিলেন মালান।

    ১০টি করে ছক্কা মেরেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মারলন স্যামুয়েলস, বরিশাল বুলসের মুশফিকুর রহিম ও শাহরিয়ার নাফীস। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে একই ম্যাচে দুজনই সর্বোচ্চ ৪টি করে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন।

    তবে আলাদা করে বলতেই হবে এভিন লুইসের কথা। ঢাকা ডায়নামাইটসের এই ক্যারিবীয় ওপেনার গত আসরে বরিশাল বুলসের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এবারে খেলেছেন মাত্র একটি ম্যাচ। সে ম্যাচেই ৩৪ বল খেলে করেছেন ৭৫ রান। মেরেছেন ৮টি বিশাল ছক্কা। কোয়ালিফায়ার পর্বে দুর্দান্ত কিছুর অপেক্ষায় তাঁকে পরের দুই ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছিল ঢাকা। এখন দেখা যাক তরুণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার কি করেন!

    চার আসর মিলিয়ে ১৪ ম্যাচে ৫৫ ছক্কা নিয়ে সবার ওপরে ‘টি-টোয়েন্টির বরপুত্র’ ক্রিস গেইল। এবারের বিপিএলে এখনো সেভাবে নিজের ঝলক দেখাননি গেইল। ৪ ম্যাচে মেরেছেন ৫টি ছক্কা। কাল রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে তিনি জ্বলে উঠলেই বর্তে যাবে তাঁর দল চিটাগং ভাইকিংস।