রাসেল-ব্রাভোয় ফাইনালে ঢাকা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা ২০ ওভারে ১৪০/ ৮ ( রাসেল ৪৬, ব্রাভো ২৩*; জুনায়েদ ৪/২৪, ফ্লেচার ২/২২)
খুলনা ১৬.২ ওভারে ৮৬ (ফ্লেচার ২৮, আরিফুল ১৪; ব্রাভো ৩/১০, রাসেল ৩/১৬)
ফল : ঢাকা ৫৪ রানে জয়ী
আগের দুই দেখায় শেষ হাসি হেসেছিল খুলনা। শেষ পর্যন্ত তৃতীয়বারে এসে ঠিকই প্রতিশোধ নিল ঢাকা ডায়নামাইটস। খুলনা টাইটানসকে ৫৪ রানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে উঠে গেছে এবারের বিপিএলের ফাইনালে।
ঢাকার জয়টা এক অর্থে পুরোপুরিই ক্যারিবিয়ময়। দুই অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ও ডোয়াইন ব্রাভো মিলেই আসলে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন। রাসেল যখন ক্রিজে নেমেছেন, ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ঢাকা তখন কাঁপছে। মোসাদ্দেকের সঙ্গে মিলে পাল্টা আক্রমণেরও চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে মোসাদ্দেকের রান আউটে ভেঙে যায় দুজনের ২৪ রানের জুটি। এরপর ডোয়াইন ব্রাভোর সঙ্গে রাসেলের ৪৯ রানের জুটিটাই ঢাকাকে লড়ার মতো একটা পুঁজি এনে দিয়েছে।
অবশ্য রাসেল যেভাবে খেলছিলেন, ঢাকার রান আরেকটুই বেশি হবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু জুনায়েদ খান ও অন্যদের দারুণ বোলিংয়ে আবার ম্যাচে ফিরেছে খুলনা। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলা জুনায়েদ ২৪ রান দিয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট। তার চেয়েও বিস্ময়কর, টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো বল করতে নেমেই প্রথম বলে উইকেট পেয়েছেন আন্দ্রে ফ্লেচার। নাসিরকে আউট করার পর আরও একবার ঢাকাকে ধাক্কা দিয়েছেন সাকিবকে ফিরিয়ে।
ঢাকার ১৪০ রান তাড়া করতে নেমে খুলনার শুরুটা ভালোই হয়েছিল। বলের পর ব্যাট হাতেও আলো ছড়াতে শুরু করেছিলেন ফ্লেচার, ২৮ রানও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু সাকিবের বলে ফ্লেচার স্টাম্পড হয়ে যাওয়ার পর সেই যে মড়কের শুরু, এরপর খুলনার ব্যাটসম্যানরা শুধু আসা যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন। “কৃতিত্বটা”একটু আম্পায়ারদেরও প্রাপ্য। হাসানুজ্জামান ও বেনি হাওয়েলের আউট দুইটি যে প্রশ্নবিদ্ধ, টিভি পর্দাতেই বোঝা গেছে। ফ্লেচার ছাড়া খুলনার হয়ে দুই অঙ্ক শুধু ছুঁতে পেরেছেন আরিফুল, শেষ পর্যন্ত ধুঁকতে ধুঁকতে অলআউট হয়ে গেছে ৮৬ রানেই।
তবে হেরে গেলেও এখনই শেষ হয়ে যাচ্ছে না খুলনার আশা। কাল আরেকটি প্লে অফে রাজশাহীর মুখোমুখি। সেটিতে জয়ী দল ঢাকার সঙ্গে পেয়ে যাবে ফাইনালের টিকেট।