তেমন কোনো চাপই মনে হয়নি রাসেলের
টুর্নামেন্টের শুরুতেই ছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের সঙ্গে। পরে চোট পেয়ে ফিরে গিয়েছিলেন দেশে। আবার ফিরেও ঠিক নিজেকে চেনাতে পারছিলেন না আন্দ্রে রাসেল। অবশেষে জ্বলে ওঠার জন্য বেছে নিলেন খুলনার সঙ্গে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা। ৪৬ রানের পর ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার জয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডারই।
তবে যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন, ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ঢাকা তখন জবুথবু। রাসেল তখন পালাট আক্রমণকেই ঢাল হিসেবে দাঁড় করালেন। ২৫ বলে ৪৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে আবার পথ পেল ঢাকা।
বোলিংয়েও চাপটা কম ছিল না। ১৪০ রান তো টি-টোয়েন্টির হিসেবে খুব বেশি কিছু নয়। প্রথম ওভারে ৬ রান দেওয়ার পর রাসেল আঘাত হানলেন দ্বিতীয় ওভারে। মাহমুদউল্লাহ ও হাসানুজ্জামানকে ফিরিয়ে দিলেন একই ওভারে। সেই জোড়া ধাক্কাটা আর সামলে উঠতে পারেনি খুলনা। শেষ পর্যন্ত রাসেল পেয়েছেন তিন উইকেট।
ব্যাটিং-বোলিং দুই জায়গাতেই চাপে থাকলেও রাসেল পরে জানিয়েছেন, সেটা খুব একটা টের পাননি। বরং এতোদিনের টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতা সেটা টের পেতে দেয়নি, আমি আসলে তেমন কোন চাপ টের পাইনি। আমি এরকম পরিস্থিতিতে আগেও পড়েছি। আমি জানি কী করতে হবে। উইকেটে টার্ন থাকলে কাজটা কঠিন হয়ে যেত। তখন চাপ বেড়ে যেত। তখন হয়তো আমাকে একটা সুযোগ নিতে হতো।
তবে রাসেল মানছেন, ঢাকার দলে পুরনো অনেক সতীর্থকে পাওয়াটাই তাঁকে কিছুটা চাপমুক্ত করেছে, "আমি মাহেলার সঙ্গে আইপিএলে খেলেছি, সাঙ্গার সাথে জ্যামাইকা তালোয়াসে। ব্রাভোর সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজে, সাকিবের সঙ্গে কেকেআর বা জ্যামাকায়। ওদেরকে ড্রেসিংরুমে পাওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আমি ওদের সবাইকে খুব ভালোমতো চিনি। সেটা তো একটা শক্তি বটেই।"