খুলনাকে হারিয়ে ফাইনালে রাজশাহী
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইটানস ২০ ওভারে ২০ ওভারে ১২৫/৯ (আরিফুল ৩২*, মাহমুদ উল্লাহ ২২, পুরান ২২; প্যাটেল ৩/১৯)
রাজশাহী ১৯.২ ওভারে ১২৬/৩ (সাব্বির ৪৩*, ফ্রাঙ্কলিন ৩০*; মাহমুদউল্লাহ ১/১০ )
ফল: রাজশাহী ৭ উইকেটে জয়ী
চট্টগ্রামের সঙ্গে ম্যাচটা যেমন টানটান উত্তেজনায় জিতেছিল, খুলনার সঙ্গে ম্যাচটা অনায়াসেই জিতেছে রাজশাহী। স্কোরকার্ড বলবে ম্যাচটা শেষ ওভারে গিয়েছে। কিন্তু পুরো ম্যাচে লাগামটা কখনোই ছুটতে দেয়নি রাজশাহী।
আসল কাজটা অবশ্য আগেই সেরে রেখেছিল রাজশাহী। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তখন জানিয়েছিলেন, বোলিং মূল শক্তির জায়গা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া। কিন্তু শুরু থেকেই সেটি বুমেরাং হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেজন্য অবশ্য কৃতিত্ব রাজশাহীর বোলারদের যতটা, কিছুটা দায় অবশ্যই খুলনার ব্যাটসম্যানদের। ১২ রানেই যে দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান হাসানুজ্জামান ও আবদুল মজিদ রান আউট হয়ে ফিরে গেছেন। পাঁচ রান পর আউট শুভাগত হোমও।
এরপর নিকোলাস পুরান ও মাহমুদউল্লাহ মিলে একটু প্রতিরোধের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ভালো খেলতে খেলতেই নবীন আফিফের বলে আউট হয়ে গেছেন পুরান। এরপর বেনি হাওয়েলও বেশিক্ষণ থাকেননি। তবে খুলনাকে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছেন সামিত প্যাটেল। মাহমুদউল্লাহকে আউট করে খুলনাকে বানিয়ে দিয়েছেন ৮২ রানে ৬ উইকেট।
এরপরও খুলনার রান ১০০ পার হওয়া নিয়েই টানাটানি। ৯২ রানেই পড়ে গিয়েছিল ৮ উইকেট। সেটা ১২৫ পর্যন্ত যাওয়ার মূল কৃতিত্ব আরিফুল হকের। শেষ দুই ব্যাটসম্যাকে নিয়ে যোগ করেছেন আরও ৩৩ রান।
সেই রান তাড়া করতে নেমেই শুরুতেই রাজশাহী হারিয়ে বসে মুমিনুলকে। নুরুল হাসানের সঙ্গে আফিফ ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু ৩৪ রানের মাথায় আউট হয়ে গেছেন নুরুলও। এরপর সাব্বিরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন আফিফ। মাঠে-মাঠের বাইরে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না সাব্বিরের, এই ম্যাচের শুরুতেও রান পেতে প্রাণপাত করছিলেন। প্রথম চারের জন্য খেলতে হয়েছে ৩১ বল। শেষ পর্যন্ত সংগ্রাম করতে করতেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
সেজন্য অবশ্য রাজশাহীকে অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। খুলনার সঙ্গে প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারে সাত রান নিতে পারেনি রাজশাহী। সেবারের নায়ক খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আবারও বল নিলেন। এবার অবশ্য আর সেরকম কিছু হলো না। শেষ ওভারে দরকার ছিল ছয় রান, প্রথম বলে সাব্বির নিলেন এক রান। পরের বলেই ফ্রাঙ্কলিন ছয় মেরে রাজশাহীকে এনে দিলেন ৭ উইকেটের সহজ জয়।