• " />

     

    ক্রিকেটেও আসছে 'কার্ড দেখানোর' নিয়ম!

    ক্রিকেটেও আসছে 'কার্ড দেখানোর' নিয়ম!    

    একবার ভেবে দেখুন তো। আম্পায়ার পকেট থেকে লাল কার্ড বের করে মাঠের বাইরে চলে যেতে বললেন একজন ক্রিকেটারকে! ব্যাপারটা কেমন হবে? এতদিন যেটা ফুটবলে হয়ে এসেছে, সেটা হয়তো এবার ক্রিকেটেও দেখা যাবে। এরকম কিছু করারই প্রস্তাব দিয়েছেন সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক রিকি পন্টিং। ক্রিকেটারদের ব্যবহার ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে যাওয়ায় এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলেই মনে করছেন তিনি।

     

    ক্রিকেটকে বলা হয় ‘ভদ্রলোকের খেলা’। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে মাঠে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একই সাথে বেড়েছে আম্পায়ারদের প্রতি অশোভন আচরণও। এমসিসি ক্রিকেট কমিটির সদস্য পন্টিং তাই মনে করেন, খুব দ্রুতই ক্রিকেটারদের মাঠ থেকে বহিষ্কারের আইন চালু করা উচিত, “আমরা এসব ব্যাপারে আইন পরিবর্তনের কথা বলছি কারণ মাঠে ক্রিকেটারদের আচরণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি, যখন এটাকে থামানোর জন্য ব্যবস্থা নিতেই হবে।”

    ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই নিয়ম চালু করা হবে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে এমসিসির সভায় এই ব্যাপারে প্রস্তাব তোলা হবে। এমসিসির চেয়ারম্যান মাইক ব্রিয়ারলিও একই কথা ভাবছেন, “পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের  এক পরিসংখ্যানে আমরা দেখেছি, প্রায় ৪০% ব্রিটিশ আম্পায়ার নিজেদের কাজ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন ক্রিকেটারদের এরকম ব্যবহারের জন্য। এটাও জানা যায়, আম্পায়ারদের প্রতি ব্যবহার যেকোনো সময়ের চেয়ে খারাপ। অবশ্যই আম্পায়ারদের সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।”

     

    এদিকে এমসিসি তাঁদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ক্রিকেটেও ‘লাল কার্ড’, ‘হলুদ কার্ড’ দেখানোর নিয়ম করা হবে, “ক্রিকেট এমনই একটা খেলা যেখানে ম্যাচের ভেতরে কোন শাস্তির নিয়ম নেই। অধিনায়ক তাঁর দলকে মাঠ থেকে বের হওয়ার কথা বলতে পারে, কিন্তু আম্পায়াররা পারে না। ধরুন একজন ব্যাটসম্যান প্রতিপক্ষের কাউকে ব্যাট দিয়ে আঘাত করল, এরপর সে ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জিতিয়ে দিল!”

     

    এমসিসির প্রধান জন স্তেফেনসন আশা করছেন, তাদের নেওয়া সিদ্ধান্ত আইসিসিও অনুমোদন দেবে, “আমরা আশা করি আমাদের সিদ্ধান্ত আইসিসি সমর্থন করবে। আম্পায়ারদের ওপর অশোভন আচরণ দিন দিন বেড়েই চলেছে।” পন্টিং মনে করেন, ক্রিকেটারদের উচিত নিজের দায়িত্বটা বোঝা, “আধুনিক যুগের ক্রিকেটারদের উচিত নিজেদের সামাজিক দায়িত্বটা বুঝতে শেখা। তাঁরা সমাজের আদর্শ।”