রাজশাহীর প্রথম না ঢাকার তৃতীয়?
কাগজ কলম বলছে ঢাকা ডায়নামাইটসই হয়তো ফেবারিট। আন্দ্রে রাসেল, ডোয়াইন ব্রাভো, কুমার সাঙ্গাকারাদের সঙ্গে সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, নাসির হোসেনদের মতো স্থানীয় খেলোয়াড়। টুর্নামেটে শুরু থেকেই তো ঢাকা ফেবারিট, গ্রুপ শীর্ষ থেকে সবার আগে ফাইনালে উঠেছে তারা। কিন্তু ফাইনালে প্রতিপক্ষ রাজশাহী বলেই কি ঢাকা ঈষান কোণে মেঘ দেখছে?
রাজশাহী কিংসের জন্য আগের দুই দেখাই সবচেয়ে বড় প্রেরণা হতে পারে। ফাইনালে টসে জিতলে ড্যারেন স্যামি নিশ্চয় ঢাকাকে ব্যাট করতে পাঠেবন। দুই দলের আগের দুই দেখাতেই শুরুতে ব্যাট করে রাজশাহীর কাছে হেরে গিয়েছিল ঢাকা। আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে হেরে গিয়েছিল আসলে ইংলিশ অলরাউন্ডার সামিত প্যাটেলের কাছে। দুই বারই ঢাকার সঙ্গে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন প্যাটেল। প্রথমবারের ১৩৮ রান টপকে যেতে খুব সমস্যা হয়নি রাজশাহীর। তবে পরের বার ঢাকার ১৮২ রান তাড়া করে জয়ে প্যাটেল খেলেছিলেন বিস্ফোরক একটা ইনিংস। চট্টগ্রামের সঙ্গে এলিমিনিটরে জয়ে অবশ্য ব্যাট নয়, প্যাটেল নায়ক ছিলেন বল হাতে।
তবে সেবারের ঢাকাকে ঠিক এবারের সঙ্গে মেলানো যাবে না। আন্দ্রে রাসেল, এলভিন লুইসরা তো ছিলেন না ওই দলে। নিজেদের দিনে দুজন কী করতে পারেন, সেটা এবারের বিপিএলে দেখিয়েছেন ভালোমতোই। ব্রাভোও বল হাতে আছেন দারুণ ফর্মে।
তবে নকআউটে পর পর দুইটি ম্যাচ জেতায় রাজশাহীর আত্মবিশ্বাস একটু বেশিই উত্তুঙ্গু থাকতে পারে। চট্টগ্রামের সঙ্গে মুঠো গলে বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচটা তো ড্যারেন স্যামি একাই জিতিয়েছিলেন। খুলনার সঙ্গে জয়ে বড় প্রাপ্তি নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা সাব্বির রহমানের ফর্মে ফেরার আভাস। ঢাকার সঙ্গে আগের দুই বার দলের জয়ে তেমন অবদান রাখতে পারেননি। এবার বড় মঞ্চে সেই অপূর্ণতা নিশ্চয় ঘোঁচাতে চাইবেন।
অন্য নামে রাজশাহী এর আগে বিপিএলে থাকলেও শিরোপা কখনো নেওয়া হয়নি। ঢাকা অবশ্য প্রথম দুই বারই চ্যাম্পিয়ন ছিল, তবে নতুন নামে এখনো শিরোপা পায়নি। যেই জিতুক, এটা হবে দুই দলের এক অর্থে প্রথমই।