রাজশাহীকে হারিয়ে শিরোপা ঢাকার
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা ডায়নামাইটস ২০ ওভারে ১৫৯/৯ (লুইস ৪৫, সাঙ্গাকারা ৩৬; রেজা ৩/২৮)
রাজশাহী কিংস ১৭.৪ ওভারে ১০৩ (মুমিনুল ২৭, সাব্বির ২৬; জায়েদ ২/১২, সানজামুল ২/১৭, সাকিব ২/৩০)
ফল : ঢাকা ৫৬ রানে জয়ী।
দর্শকঠাসা মিরপুরের গ্যালারি, ছুটির দিনে বিপিএলের ফাইনালে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ঢাকার সমর্থকদের শেষ পর্যন্ত পয়সাটা পুরোপুরি উসুল হলো, ঢাকা ডায়নামাইটসের শিরোপা উদযাপন দেখেই বাড়ি ফিরতে পারলেন। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে রোমাঞ্চ ছড়ানোর কথা, সেটা ছিল না একেবারেই। রাজশাহী কিংসের সঙ্গে ৪০ রানের জয়টা হলো একেবারেই ম্যাড়ম্যাড়ে। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে রাজশাহীর কাছে হেরে গিয়েছিল। ফাইনালের জয়ে একটা প্রতিশোধও নেওয়া হয়ে গেল।
ব্যাটে-বলে দুই বিভাগেই ঢাকার কাছে হেরে গেছে রাজশাহী। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে টুর্নামেন্টে আলো ছড়ানো মেহেদী মারুফ অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ৮ রান করেই আউট হয়ে গেছেন। এরপর ৪২ রানের ভেতর নাসির ও মোসাদ্দেক ফিরে যাওয়ার পর একটু চাপেই পড়ে গিয়েছিল ঢাকা।
কিন্তু শুরুতে একটু সতর্ক এলভিন লুইস এরপর খোলস থেকে বেরুতে শুরু করলেন। স্যামির এক ওভারে পর পর দুই চারে শুরু। নবীন আফিফ হোসেন পরের ওভারে পর পর তিন বলে মারলেন তিনটি চার। ১০ ওভারে ৮২ রান করে ঢাকা তখন দেখছে বড় স্কোরের স্বপ্ন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই রান খুব বেশি হয়নি রাজশাহীর বোলারদের জন্য। দুর্দান্ত বোলিং করা ফরহাদ রেজাই এনে দিয়েছেন প্রথম ব্রেক থ্রু, লুইসকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ৪৫ রানে। দুই ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো ও আন্দ্রে রাসেল ঝড় তোলার আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু শুরুটা ভালো করেও দুজন আউট হয়ে যান। চার মারার পরের বলেই সাকিবও আউট হয়ে যান রেজার বলে। ১৭ ওভারের পর মনে হচ্ছিল, ঢাকার রান দেড়শর বেশি নাও হতে পারে। কিন্তু শেষ দুই ওভারে সাঙ্গাকারা ও সানজামুল ২৮ রান নিয়ে ঢাকাকে প্রায় ১৬০ এর কাছাকাছি নিয়ে যান। এর আগে দুই দলের দেখায় ঢাকার ১৮২ তাড়া করে জিতেছিল রাজশাহী। স্যামিরা তাই খুব মন খারাপ করেননি।
কিন্তু আজ আগের বারের সেই কীর্তির পুনরাবৃত্তি হয়নি। আরও একবার ওপেনিংয়ে নেমে ব্যর্থ নুরুল হাসান সোহান। সাব্বিরের সঙ্গে মুমিনুল এরপর হাল ধরেছিলেন। কিন্তু ওদিকে রানরেট বেড়ে যাচ্ছিল তরতর করে। শেষ পর্যন্ত অসম্ভব একটা সিঙ্গেল নিতে গিয়ে আউট হয়ে যান সাব্বির, ভেঙে যায় দুজনের ৪৫ রানের জুটি। পরের ওভারেই আবারও সাকিবের বলে এলবিডব্লু মুমিনুল, আরও একবার আম্পায়ারের প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত গেল ঢাকার পক্ষে। রিপ্লেতে বোঝা যাচ্ছিল বলটা অফ স্টাম্প মিস করবে।
তখনও অবশ্য ম্যাচে ছিল রাজশাহী। কিন্তু জেমস ফ্রাঙ্কলিন ও ড্যারেন স্যামি আউট হয়ে গেছেন দুই অঙ্কের আগে। সামিত প্যাটেল আগের দুই ম্যাচে ঢাকা-বধের নায়ক ছিলেন, আজ সেটা আর হতে পারেননি। শেষ দিকে মিরাজ, আফিফরাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কেসরিক উইলিয়ামস যখন ১৬তম ওভারে হাতে আঘাত পেয়ে ফিরে গেছেন, ম্যাচের পরাজয়টা তার অনেক আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। রাসেলের বলে অপুর আউটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করতে পেরেছে ঢাকা।