সেঞ্চুরির পর গোল্ডেন ডাক
মুদ্রার দুই পিঠ দেখেছেন- ক্রিকেটে কথাটা অতি ব্যবহারে একরকম ক্লিশেই হয়ে গেছে। তবে কিটন জেনিংসের চেয়ে আর কারও জন্য বোধ হয় এই মুহূর্তে কথাটা খাটে না। অভিষেক টেস্টে একই সঙ্গে সেঞ্চুরি ও শুন্যের অভিজ্ঞতা যে টেস্ট ইতিহাসেই এর আগে মাত্র তিনজনের ছিল! আর সেই শুন্য প্রথম বলে ধরলে কিটনই টেস্ট ইতিহাসের প্রথম!
একরকম পাকেচকক্রেই সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ড দলে। হাসিব হামিদের চোটে জাতীয় দলের দরজা হুট করেই করেই খুলে দিয়েছিল। সেই সুযোগটা এমন দুহাত ভরে আর নিতে পারতেন না। অভিষেক ইনিংসেই পেয়ে গেছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের হয়ে তাঁর আগে ১৮ জনের ছিল এই কীর্তি।
কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা হলো দুঃস্বপ্নের মতো। দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলেই সিঙ্গল নিয়েছিলেন অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। ভুবনেশ্বর কুমারের দ্বিতীয় বলটা সুইংয়ে পরাস্ত করল জেনিংসে, গিয়ে লাগল প্যাডে। ফিল্ডারদের সমস্বর আবেদনে আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। জেনিংস একটু থেমে কুকের সঙ্গে কথা বললেন, রিভিউ নেবেন কি না সেটা নিয়ে ভাবলেন। শেষ পর্যআন্ত সেটা আর নেননি, রিপ্লেতেও দেখা গেছে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল।
টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি ও শুন্যের কীর্তি এর আগে ছিল শুধু তিনজনের। ১৯৬৯ সালে ভারতের গুণ্ডাপ্পা বিশ্বনাথের প্রথম এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যান্ড্রু হাডসন ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ ওয়াসিমেরও অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি-শুন্য দেখতে হয়েছিল। তবে জেনিংসের সঙ্গে বিশ্বনাথ ও ওয়াসিমের একটু অমিল আছে। পরের দুজন প্রথম ইনিংসে শুন্যের পর দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। আবার হাডসন প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন শুন্য। সেটার জন্য হাডসনকে দুই বল খেলতে হয়েছিল, আর জেনিংস আউট হয়ে গেছেন প্রথম বলেই। টেস্ট অভিষেকে ১০১জন সেঞ্চুরি পেয়েছেন, ৯৯ জন পেয়েছেন গোল্ডেন ডাক। তবে একই টেস্টে এই দুই অভিজ্ঞতা শুধু জেনিংসেরই আছে।