মুম্বাইতে পরাজয় দেখছে ইংল্যান্ড
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চতুর্থ দিন শেষে
ইংল্যান্ড ৪০০ ও ১৮২/৬ (রুট ৭৭, বাটলার ৫০*; অশ্বিন ২/৪৯, জাদেজা ২/৫৮)
ভারত ৬৩১ (কোহলি ২৩৫, বিজয় ১৩৬, যাদব ১০৪; রশিদ ৪/১৯২ )
প্রভাত দেখে নাকি বোঝা যায়, দিনটা কেমন যাবে। অন্তত বিরাট কোহলি নিশ্চয় আজকের দিন শেষে কথাটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করবেন। ব্যাটিংয়ে অমন একটা সকালের পর শেষ বিকেলের আলোতেও ভারত হাসল। দিনের শেষ বলে জেক বলকে হারিয়ে আরেকটি পরাজয় যে উঁকি দিচ্ছে ইংল্যান্ডের দিগন্তে।
দ্বিতীয় ইনিংসে এখনো ভারতকে ব্যাট করাতেই ৪৯ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে। হাতে উইকেট মাত্র চারটি। কুকের একটাই আশা, এখনো ভরসা হয়ে আছেন জনি বেয়ারস্টো ও জস বাটলার। কাল দুজন কতক্ষণ দলকে টেনে নিতে পারেন, সেটার ওপরেই নির্ভর করবে ম্যাচের ভাগ্য।
অথচ শেষ বিকেলে ছো্টখাট ধস না নামলে কুক হয়তো হাসিমুখেই রুটদের ড্রেসিংরুমে অভ্যর্থনা জানাতে পারতেন। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাই হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো, প্রথম বলেই ফিরে গিয়েছিলেন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান কিটন জেনিংস। এরপর অ্যালিস্টার কুককে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েছিলেন জো রুট। কিন্তু ছয় রানের মধ্যে ফিরে গেছেন কুক ও মঈন আলী, দুজনেই শিকার রবীন্দ্র জাদেজার।
রুট ঠিক করলেন, পাল্টা আক্রমণেই উত্তর দেবেন অশ্বিনদের। ওয়াংখেড়ের সাপের মতো ছোবল মেরে উঠতে থাকা উইকেটে খেলছিলেন দারুণ, আরেকটি সেঞ্চুরির দিকেও একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কয়েকবার অবশ্য এলবিডব্লুর আবেদন থেকে বেঁচে গেছেন, কোহলিও দুইবার রিভিউ নিয়ে নষ্ট করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৭৭ রান করে আউট হয়ে গেছেন জয়ন্ত যাদবের বলে, ৯২ রানে ভেঙে গেছে তৃতীয় উইকেটের জুটি। সেটাও এসেছে মাত্র ২১ ওভারে।
স্টোকসও শুরু থেকে ছিলেন দারুণ আক্রমণাত্মক, যাদবের এক ওভারে মেরেছেন চার-ছয়ও। কিন্তু অশ্বিনের বলটা রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বুটে লেগে উঠে যায় ক্যাচ। তিন ওভার পরে নাইটওয়াচম্যান জেক বলও অশ্বিনের শিকার, দিনের খেলাও শেষ হয়ে গেছে ওখানেই।
তার আগে সকালের সেশনে ইংল্যান্ডের বোলারদের হতাশ করে গেছেন কোহলি-যাদব। প্রথম সেশনে দুজনের জুটিটা অবিচ্ছিন্ন ছিল, তার আগেই কোহলি পেয়ে গেছেন এ বছরের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। লাঞ্চের পর অভিষেক সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন জয়ন্ত যাদবও। শেষ পর্যন্ত যাদবের আউটেই ভেঙেছে দুজনের ২৪১ রানের জুটি। ৬৩১ রানে অলআউট হওয়ার আগে ভারত নিয়ে ফেলেছে ২৪১ রানের লিড।