• ভারত-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    অ্যান্ডারসন-অশ্বিন তর্কে হতাশ কোহলি

    অ্যান্ডারসন-অশ্বিন তর্কে হতাশ কোহলি    

    শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন মাঠে নামলেন জেমস অ্যান্ডারসন, ভারতের ম্যাচ জয় ততক্ষণে প্রায় নিশ্চিত। এগারো নাম্বারে নামা অ্যান্ডারসনকে নিয়ে তাই খুব একটা দুশ্চিন্তা করার প্রশ্নই ওঠে না! কিন্তু ক্রিজে আসার সাথে সাথেই অশ্বিন বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁর সাথে। ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে নিয়ে করা বিরূপ মন্তব্যের জের ধরেই এরকম কথা কাটাকাটি, এটা বোধহয় সবাই কমবেশি বুঝতে পেরেছিলেন। ম্যাচশেষে ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক বলেছেন, এই ঘটনায় ম্যাচের সমাপ্তিটা ‘তিক্তই’ হয়েছে।

     

    ‘তিক্ততার’ শুরুটা কিন্তু হয়েছিল ম্যাচের চতুর্থ দিনের শেষেই। দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করা কোহলিকে খোঁচা মেরে অ্যান্ডারসন বলেছিলেন, ঘরের মাটিতে খেলছেন বলেই নাকি তাঁর ব্যাটিংয়ের ত্রুটি আড়ালে থেকে যাচ্ছে! এরপর থেকেই সবখানেই তুমুল আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। অশ্বিনও নিশ্চয়ই ব্যাপারটি জেনে গিয়েছিলেন, এই কারনেই হয়তো ব্যাটিংয়ে নামা অ্যান্ডারসনকে নাজেহাল করতে ব্যস্ত ছিলেন। তর্ক এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, শেষ পর্যন্ত কোহলি এবং আম্পায়ার মারাইস এরাসমুসকে এগিয়ে আসতে হয়।

     

    পুরো ম্যাচে এরকম দৃশ্য কমই দেখা গিয়েছে। ম্যাচশেষে কুক তাই একটু হতাশই হয়েছেন, “শেষটা আসলেই একটু তিক্ত ছিল। দুই দল যেভাবে খেলেছে ওই হিসেবে সমাপ্তিটা হতাশাজনক ছিল। জিমি আগের দিন যেই কথাগুলো বলেছিল সেসবকে কেন্দ্র করেই এই তর্কের সূচনা। সে বিরাটকে নিয়ে যা বলেছিল সেটা হয়তো খানিকটা সত্য, বিরাটকে জিজ্ঞাসা করলে সেও হয়তো স্বীকার করবে। তবে এটার জন্য মাঠে ভারতীয়রা তাঁদের অধিনায়কের পাশে দাঁড়িয়েছে, যার কোন প্রয়োজন ছিল না।”

    এদিকে যাকে নিয়ে এতকিছু হয়ে গেলো, সেই কোহলি কিন্তু এসব নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাচ্ছেন না, “জীবনে প্রথমবারের মতো আমি অ্যান্ডারসনের সাথে সম্পৃক্ত কোন ঝামেলা মিটমাট করতে গিয়েছিলাম। সে সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছিল সেটায় অশ্বিন মোটেও খুশি ছিল না। তবে আমি এসব ব্যাপারে কিছুই জানিনা। আমি তো এসব দেখে হাসছিলাম! অশ্বিন কিন্তু কোন খারাপ ভাষা ব্যবহার করেনি। আমার মনে হয় সে অ্যান্ডারসনকে বলেছিল, সে তাঁর বক্তব্যে হতাশ। এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি পরবর্তীতে জেমসকে বলেছি এসব খেলার মাঝে হয়, সবকিছু ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত।”