বিসিবি একাদশের জয়ে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল সৌম্য
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিডনি সিক্সার ২০ ওভারে ১৬৯ (হিউজ ৪৭, রয় ৪২, সিল্ক ৩৫, সৌম্য ৩/৫ )
বিসিবি একাদশ ৬.৪ ওভারে ৮৪/৩ (মাহমুদউল্লাহ ২৮, সৌম্য ২০, মুশফিক ১৫, কায়েস ১২; শিবার ২/৩৫)
ফলঃ বিসিবি একাদশ ৭ উইকেটে জয়ী
বিপিএলে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। পুরো টুর্নামেন্টে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২৬, বেশ কয়েকবার শুরুটা ভালো করেও আউট হয়ে গেছেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজে তাঁর দলে থাকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। তবে অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তুতি ক্যাম্পে সৌম্য সরকার আভাস দিলেন ছন্দে ফেরার। বোলিংইয়ে তিন উইকেটের পর ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠেছেন। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে সিডনি সিক্সারসের সঙ্গে ৭ উইকেটের সহজ পেয়েছে বিসিবি একাদশ। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের ৮৪ রানের লক্ষ্যটা পেরিয়ে গেছে আট ওভারের আগেই।
প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিয়মিত খেলোয়াড়দের মধ্যে বিশ্রামে ছিলেন সাকিব, তামিম, মুস্তাফিজ। তবে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের, প্রথম ৬ ওভারেই সিক্সার তুলে ফেলে ৬৪ রান।
তবে মারকুটে ড্যান হিউজকে আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর সিস্কার উইকেট হারাতে থাকে নিয়মিত বিরতিতেই। প্রথম বলে ছয় মারার পর তাইজুলের বলে লং অফে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন ব্র্যাড হ্যাডিন। দারুণ খেলতে থাকা জেসন রয়কেও এরপর ৪২ রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
এরপর অবশ্য জর্ডান সিল্ক সিডনির রানের চাকাটা সচল রেখেছিলেন। শেষদিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েও সিডনির রান ১৬৯ হয়েছে তাঁর সৌজন্যেই। বাংলাদেশের হয়ে শেষদিকে এসে এক ওভারেই ৩ উইকেট পেয়েছেন সৌম্য। ওই ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ৫।
তবে সিক্সারসের ইনিংসের পরেই বৃষ্টির উৎপাতে বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। প্রায় ৪০ মিনিট পর্যন্ত বল মাঠে গড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮ ওভারে ৮৪।
সেটা তাড়া করে প্রথম ওভারে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। সিক্সার অধিনায়ক ইয়োহান বোথার প্রথম ওভার থেকেই আসে ১৭ রান। এর মধ্যে পর পর দুই ওভারে অবশ্য আউট হয়ে গেছেন কায়েস ও সাব্বির। তবে সৌম্য খেলছিলেন দারুণ, ২০ রানও তুলে ফেলেছিলেন। ৪ ওভারে ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে আবার লাগামটা নিজের কাছে নিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। শেষ পর্যন্ত ৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ১৩ বলে ২৮ রান করে। সিডনিরই আরেক দল সিডনি থান্ডারের সঙ্গে পরের প্রস্তুতি ম্যাচটা হবে আগামী শুক্রবার।