• ভারত-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    ডসন-রশিদে রক্ষা ইংল্যান্ডের

    ডসন-রশিদে রক্ষা ইংল্যান্ডের    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    দ্বিতীয় দিন শেষে

    ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ১৫৭.২ ওভারে ৪৭৭ (মঈন ১৪৬, রুট ৮৮, ডসন ৬৬*, রশিদ ৬০; জাদেজা ৩/১০৬, ইশান্ত ২/৪২, অ্যারন ২/৭৩)

    ভারত ১ম ইনিংস ২০ ওভারে ৬০ (রাহুল ৩০*, প্যাটেল ২৮*)


    ‘সকাল থেকে নাকি বোঝা যায়, দিনটা কেমন যাবে। অ্যালিস্টার কুকের কপালে বড় একটা ভাজই পড়েছিল। আগের দিন ৪ উইকেটে ২৮৪ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু আজ সকালে ৩৭ রান তুলতেই আরও তিন উইকেট নেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কুককে হাঁপ ছাড়ার উপলক্ষ এনে দিয়েছেন টেল এন্ডাররা। আট নম্বরে নেমে লিয়াম ডসন খেলেছেন ৬৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় ব্যাট করতে নেমে ভারত কোনো উইকেটও হারায়নি।

    এই সিরিজে অশ্বিনের “বানি” হওয়াটা যেন বেন স্টোকসের নিয়তি হয়ে গেছে। আজ সকালে সিরিজে পঞ্চমবারের মতো ভারতের অফ স্পিনারের শিকার হয়েছেন স্টোকস। পাঁচ ওভার পর ইশান্ত শর্মার বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরে গেছেন জস বাটলারও। ইংল্যান্ডের একমাত্র ভরসা হয়ে টিকেছিলেন আগেই সেঞ্চুরি করে ফেলা মঈন আলী।

    কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ থাকেননি। উমেশ যাদবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফিরে গেছেন আগের দিনের সঙ্গে আর ২৬ রান যোগ করেই। ৩২১ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড তখন কাঁপছে।

    শেষ পর্যন্ত সেই রানটা যে ৪৭৭ পর্যন্ত গেছে, তার মূল কৃতিত্ব লিয়াম ডসন ও আদিল রশিদের। কদিন আগেই রংপুর রাইডার্সের হয়ে বিপিএলে খেলে গিয়েছিলেন ডসন। সেখানে ব্যাট হাতে খুব বড়কিছু করতে পারেননি, তবে আজ দলের বিপদে চওড়া হয়েছে তাঁর ব্যাট। রশিদকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ১০৮ রানের জুটি গড়েছিলেন। রশিদ আউট হয়ে গেলেও একপ্রান্ত আগলে ছিলেন ডসন। এরপর স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেক বলের সঙ্গে দুইটি জুটি গড়ে রানটা ৫০০-র কাছাকাছি নিয়ে গেছেন। নিজে অবশ্য অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রানে, টেস্ট অভিষেকে আট নম্বরে নেমে কোনো ইংলিশ ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বোচ্চ রান। আর ভারতের মাটিতে প্রথম ইনিংসে ৪৫০-র বেশি হারার রেকর্ড আছে একটিই, ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার।

    ভারত অবশ্য ব্যাট করতে নামার আগেই ছোট একটা ধাক্কা খায়। চোটের জন্য নিয়মিত ওপেনার মুরালি বিজয় নামতে পারেননি, তাঁর জায়গায় নেমেছেন উইকেটকিপার পার্থিব প্যাটেল। তবে একবার ক্যাচ দিলেও শেষ পর্যন্ত আউট হননি প্যাটেল, লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ৬০ রানের জুটিটা দিন শেষে অবিচ্ছিন্নই ছিল।