আরও একটি প্রোটিয়া আধিপত্য?
ভারতের জন্য ব্যাপারটা বোধ হয় বিপরীতে হিতই হয়ে গেল। গ্রুপের শক্তিশালী দুই দলের সঙ্গে প্রথম দুটো ম্যাচ খেলে ফেলছে তারা। এতে করে চাপ প্রশমনের কাজটা প্রথম দিকেই শেষ হয়ে যাচ্ছে, পরবর্তীতে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কাজটা হয়তো সহজই হয়ে যাবে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশাল চাপের ম্যাচটায় উৎরে যাবার পর কাল তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
আপনার জেনে থাকার কথা, বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রোটিয়াদের এখন পর্যন্ত হারাতে পারেনি ভারতীয়রা। এবার ছকটা বদলে দিতে হয়তো আপ্রাণ চেষ্টাই তারা করবে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক ফর্ম অব্যাহত থাকলে চেষ্টাটা যে নিষ্ফল থেকে যাবার সম্ভাবনাই বেশি, এটা বুঝে উঠতে বিরাট বড় ক্রিকেট বোদ্ধা হওয়ার প্রয়োজন নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এক প্রকার উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ মঞ্চে প্রবেশ, প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের সাথে ব্যাটিং-বোলিং দুটোতেই বিপর্যয়ে পড়েও বিপুল বিক্রমে ঘুরে দাঁড়ানো, তিন বিভাগেই যথেষ্ট গভীরতা- বিশ্বকাপে গড়বড় করে ফেলার পুরনো অভ্যাসটা ফিরে না এলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকাতে কালঘাম বেরিয়ে যাবার কথা যেকোনো দলেরই।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তিন মাসের শিক্ষা সফর শেষে পাকিস্তানের বিপক্ষে অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। তবে জয়টা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সাথে হওয়ায় মানসিকভাবে কিছুটা হলেও উদ্দীপ্ত থাকবে ভারত। টানা বাজে পারফরমেন্সের পর সেদিন শতক পেলেন বিরাট কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাট থেকে এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি খুব করেই চাইবেণ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক ভারতীয় সমর্থক। প্রোটিয়া বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড তো বলেই দিলেন এমসিজিতে ভারত খেলবে অনেকটা স্বাগতিক দল হিসেবে। ছবি-সৌজন্যঃএএফপি