আর্সেনালকে হারিয়ে গার্দিওলার স্বস্তির জয়
বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিলেন পেপ গার্দিওলা। চেলসি ও লেস্টার সিটির কাছে পর পর দুই ম্যাচে হেরে শিরোপা স্বপ্ন একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছিল। গার্দিওলাও বলেছিলেন, নিজের ওপর চাপটা ভালোমতোই টের পাচ্ছেন। অবশেষে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারলেন সিটি কোচ। আর্সেনালকে ২-১ গোলে পয়েন্ট তালিকার দুইয়েও উঠে এসেছে সিটি। আর পরপর দুই ম্যাচ হেরে আর্সেনাল নেমে গেছে চারে।
অথচ ম্যাচের শুরুটা দারুণ তেঁড়েফুঁড়েই করেছিল আর্সেনাল। গোলটাও পেয়ে যায় ১০ মিনিটেই। অ্যালেক্সিস সানচেজের দারুণ একটা থ্রু থেকে বল পেয়েছিলেন থিও ওয়ালকট। ডি বক্সের ভেতরে বলটা জালে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি। রবার্ট পিরেসকে পেরিয়ে আর্সেনালের হয়ে পঞ্চম সর্বোচ্চ গোলও (৬৩টি) এখন তাঁর। গানারদের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে তাঁর চেয়ে বেশি গোল আছে ডেনিস বার্গক্যাম্প, রবিন ফন পার্সি, ইয়ান রাইট ও থিঁয়েরে অঁরির।
কিন্তু কে জানত, ওই গোলটাই ম্যাচে আর্সেনালের একমাত্র সুখস্মৃতি হয়ে থাকবে? ওই গোলের পরেই ম্যাচে ভালোভাবেই ফিরে আসে সিটি। প্রথমার্ধে অবশ্য চেষ্টা করেও আর গোল পায়নি। গার্দিওলাকে তখন চোখ রাঙ্গাচ্ছিল একটা তথ্য- প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকার পর এই মৌসুমে কখনো হারেনি আর্সেনাল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই শঙ্কা ঘুঁচেছে গার্দিওলার। সেটি শুরু হয়েছে লেরয় সানেকে দিয়ে। ৪৭ মিনিটে ডেভিড সিলভার থ্রু থেকে বল পেয়ে গোল করেছেন সিটি উইঙ্গার। যদিও রিপ্লে দেখে সানে অফসাইডে ছিলেন বলে মনে হয়েছে। সিটি দ্বিতীয় গোলের জন্য এরপর ভালোমতোই চেপে ধরেছিল আর্সেনালকে। পিওতর চেককে দুয়েকবার পরীক্ষা নিয়েও শেষ পর্যন্ত গোলটা আর আসেনি। সেই গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৭১ মিনিট পর্যন্ত।
এবার গোলের কারিগর কেভিন ডি ব্রুইন। মাঠের এক প্রান্ত থেকে দারুণ পাসটা খুঁজে নিয়েছিল অন্য প্রান্তে থাকা রাহিম স্টার্লিংকে। বক্সের ভেতরে ঢুকে তাঁর নেওয়া মাটি কামড়ানো শট কাছের পোস্টে আটকাতে পারেননি চেক। পরে চেষ্টা করেও আর্সেনাল আর সমতা ফেরাতে পারেনি। অবিশ্বাস্যই মনে হবে, তবে ২০১২ সালের পর এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগে প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকে জিতল ম্যান সিটি।