ইংল্যান্ডের "করুন" দিনে নাইরের ইতিহাস
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ৪৭৭
ভারত ১ম ইনিংস ১৯০.৪ ওভারে ৭৫৯/৭ (নাইর ৩০৩*, রাহুল ১৯৯; ব্রড ২/৮০ )
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস ৫ ওভারে ১২/০
লোকেশ রাহুল পারেননি। ১৯৯ রানে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন কভার পয়েন্টে। কী অদ্ভুত, আদিল রশিদের এই বলটাও ছিল অফস্টাম্পের বাইরেই। করুন নাইর বলটা তুলেও দিয়েছিলেন সেই পয়েন্টে। কিন্তু সামনে গিয়েও ক্যাচটা নিতে পারলেন না অ্যালিস্টার কুক। চার মেরেই ইতিহাস গড়লেন নাইর। টেস্ট ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক সেঞ্চুরিটাই রূপ দিলেন ট্রিপল সেঞ্চুরিতে। পুরো ভারত দল ততক্ষণে দাঁড়িয়ে পড়েছেন সম্মান জানাতে। আর কোচ অনিল কুম্বলে মগ্ন ইতিহাস গড়ার মুহূর্তটা ক্যামেরায় ধরে রাখতে।
সেই ছোট্ট তালিকায় এমন দুজন আছেন, যাঁদের সঙ্গে নাম নিতে পেরে নাইর নিশ্চয় গর্ববোধ করবেন। স্যার গ্যারি সোবার্স ও বব সিম্পসনের সঙ্গে এক বন্ধনীতে থাকাটা নিশ্চয় নাইর নিজেও ভাবেননি। মিলটা সিম্পসনের সঙ্গেই বেশি, সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের মতো তাঁর অভিষেক ট্রিপল সেঞ্চুরিও যে এসেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে সোবার্সের সেই ৩৬৫ রান ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে।
তবে একটা দিক দিয়ে দুই পূর্বসূরিকেই ছাড়িয়ে গেছেন নাইর। সোবার্স নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ১৭ টেস্টে এসে, সিম্পসন তো ৩০ টেস্ট পর। আর নাইর সেটা পেয়ে গেছেন তৃতীয় টেস্টের। অন্য দুজনের ক্যারিয়ারের একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরি হয়ে আছে সেটি। নাইর নিশ্চয় সেটা চাইবেন না।
খুব নাটকীয় কিছু না হলে এই টেস্ট যে ড্র হতে যাচ্ছে, সেটা বোঝা যাচ্ছিল সকাল থেকেই। প্রথম সেশনে মুরালি বিজয়ের উইকেটটাই একমাত্র প্রাপ্তি ইংল্যান্ডের। এরপর কুকদের হতাশ করে ব্যাট করে গেছেন নাইর-অশ্বিন।২০০ লিড হয়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল, কোহলি হয়তো ইনিংস ঘোষণা করে দেবেন। কিন্তু নাইরের সামনে যে হাতছানি দিচ্ছে ইতিহাস! ডাবল সেঞ্চুরি করতে খেলতে হয়েছিল ৩০৫ বল। আর পরের ১০০ রান করেছেন মাত্র ৭৬ বলে! এর মধ্যে আদিল রশিদের এক ওভার থেকে একাই নিয়েছেন ১৫ রান। ভারতের ইতিহাসে তৃতীয় ট্রিপল সেঞ্চুরিও হয়ে গেছে দিন শেষের আগেই। এর আগে বীরেন্দর শেওয়াগ ভারতের হয়ে একাই দুইবার করেছিলেন সেই কীর্তি। ইংল্যাণ্ডের বিপক্ষে কোনো দলের সর্বোচ্চ ইনিংসও হয়ে গেছে তার আগেই।