• নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ
  • " />

     

    বাংলাদেশের হারে প্রাপ্তি মুস্তাফিজ-সৌম্য

    বাংলাদেশের হারে প্রাপ্তি মুস্তাফিজ-সৌম্য    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    বাংলাদেশ ৪৩ ওভারে ২৪৫ (মুশফিকুর ৪৫, মাহমুদ ল্লাহ ৪৩, সৌম্য ৪০; হিকস ২/৩০; হ্যাম্পটন ২/৪৪ )

    নিউজিল্যান্ড একাদশ ৪১.৪ ওভারে ২৪৭/ ৭ (হর্ন ৬০, স্মিথ ৫০; সাকিব ৩/৪১, মুস্তাফিজ ২/৩৯)

    ফল : নিউজিল্যান্ড একাদশ ৩ উইকেটে জয়ী


    প্রস্তুতি ম্যাচে জয়-পরাজয়ের চেয়েও মুখ্য কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়া। তবে নিউজিল্যান্ড একাদশের সঙ্গে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তি অন্য কিছু। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ, তবে চোট কাটিয়ে অবশেষে দলে ফিরেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সৌম্য সরকারের ব্যাটেও দেখা যাচ্ছে পুরনো ফর্মের ছায়া। তিন দিন পর প্রথম ওয়ানডের আগে আপাতত এটাই বাংলাদেশের নগদ পাওনা।

    ওয়াঙ্গারেরি কবহ্যাম ওভালে সকাল থেকেই আকাশ গোমড়া হয়ে ছিল। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্যও কমে গেছে সাত ওভার। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি, ১ রান করেই ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল। তবে এরপর নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা সৌম্য সরকার ইমরুল কায়েসের সঙ্গে পথ দেখিয়েছেন বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন ৫৫ রান।

    সিডনি থান্ডারের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচেই ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়েছিলেন সৌম্য। এবার ওয়ানডেতেও দেখালেন পুরনো ফর্মের ঝলক। ৪৭ বলে করেছেন ৪০। তবে অন্য প্রান্তে সঙ্গী ইমরুল কায়েসই ছিলেন বেশি আক্রমণাত্মক, ২৯ বলে করেছেন ৩৬। মাহমুদউল্লাহও ৪৬ বলে ৪৩ রান করে ছন্দে ছিলেন, তবে পরের ব্যাটসম্যানদের সুযোগ দেওয়ার জন্য নেমে যান। বাংলাদেশের যেটি মূল উদ্দেশ্য, সেটাও মোটামুটি সফলই। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমও রান পেয়েছেন। তবে সাব্বির ব্যাট হাতে বিবর্ণ ছিলেন, ২০ বলে ১১ রান করে আউট হয়ে গেছেন। শেষ দিকে দ্রুত কিছু উইকেট পড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের রান ২৪৫ এর বেশি হতে পারেনি। তবে ততদূর যাওয়া পর্যন্ত কৃতিত্বটাও মাশরাফি বিন মুর্তজার। শেষ দিকে নেমে ১৯ বলে অপরাজিত ২১ রানের ইনিংসে পথ দেখিয়েছেন দলকে।

    পাঁচ মাস ধরে কাঁধের চোটে মাঠের বাইরে ছিলেন মুস্তাফিজ। প্রস্তুতি ম্যাচেও বল করেননি। অবশেষে নিউজিল্যান্ডে এসে প্রথম ম্যাচে নামলেন। শুরুটাও দারুণ ছিল, নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন রায়ান ডাফিকে। পরে নিয়েছেন আরও একটি উইকেট। অনেক দিন নেমেছেন বলে ছন্দ ফিরে পেতেও একটু সমস্যা হয়তো হয়েছে। ৭ ওভারে ৩৯ রান সে কথাই হয়তো বলছে। তবে আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পথে মুস্তাফিজ এই ম্যাচকে বড় ধাপ হিসেবেই দেখবেন।

    বাংলাদেশের বোলিংয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন অবশ্য সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ড একাদশ যখন একটু একটু করে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সাকিব কয়েকবারই দিয়েছেন ব্রেক থ্রু।

    একটা সময় জয়ের আশাও ভালোমতোই জাগিয়ে তুলেছিল বাংলাদেশ। ৩৬ ওভারে যখন নিউজিল্যান্ডের একাদশের সাত উইকেট গেল, তখন পরের সাত ওভারে তাদের আরও দরকার ৪৫ রান। কিন্তু এরপর ব্রেট হ্যাম্পটনকে নিয়ে আর কোনো বিপদ হতে দেননি বেন হর্ন। দুজনের ৪৮ রানের জুটিটাই আট বল বাকি থাকতে জিতিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।