৫ বছর পর মিলানের শিরোপার হাসি
শেষ কবে শিরোপা জিতেছিল এসি মিলান? মিলানের পাঁড় সমর্থকরাও বোধহয় ভুলতে বসেছিলেন শিরোপা জয়ের আনন্দ। সেই আনন্দের গল্পই ফিরে এলো কাতারের দোহাতে। ইতালিয়ান সুপার কাপ ফাইনালে জুভেন্টাসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে এসি মিলান। জুভেন্টাসের বর্তমান কোচ অ্যালেগ্রির অধীনে ২০১১ ইতালিয়ান সুপার কাপ জেতার পর ৫ বছরে এটাই মিলানের প্রথম শিরোপা।
শুরু থেকেই ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করে গত মৌসুমে ঘরোয়া ডাবল জেতা জুভেন্টাস। কিন্তু একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি করেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না তুরিনের বুড়িরা। তবে খুব বেশি দেরী হয়নি। ১৮ মিনিটেই লিড নেয় তুরিনের ক্লাবটি। বসনিয়ান মিডফিল্ডার পিয়ানিচের কর্নারে ভলি করে দলকে এগিয়ে নেন কিয়েল্লিনি। গোলের পরও চাপ অব্যাহত রাখে জুভেন্টাস, কিন্তু মানজুকিচ, স্টুয়ারো, সান্দ্রোর সহজ সব মিসে লিড বাড়াতে পারেনি দলটি। হঠাৎ করেই ধারার বিপরীতে গোল পায় মিলান। ৩৮ মিনিটে ফার্নান্দেজ সুসোর বাঁ পায়ের ক্রসে জোরালো শটে বুফনকে পরাস্ত করেন বোনাভেনচুরা।
দ্বিতীয়ার্ধে নতুন উদ্যমে আক্রমণ শানাতে থাকে মিলান। ৫৭ মিনিটে জুভেন্টাস ডিফেন্সকে সারাক্ষণ শশব্যস্ত রাখা সুসোর বাড়ানো বলে রোমাগনলির শক্তিশালী হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ৮৩ মিনিটে সুসোর ক্রসে কার্লোস বাক্কার হেড অবিশ্বাস্য ভঙ্গিমায় সেভ করেন জুভেন্টাসের হয়ে ৬০০তম ম্যাচ খেলতে নামা বুফন। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে বাক্কার শট গোললাইন থেকে কিয়েল্লিনি ফিরিয়ে দিলে ১-১ সমতাতেই শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিট।
৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়ে টানটান উত্তেজনা বজায় থাকে। ১১১ মিনিটে প্যাট্রিস এভরা গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। ১১৬ মিনিটে একদম ফাঁকা জায়গায় বল পেলেও উড়িয়ে মেরে ম্যাচ জেতার সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন আর্জেন্টাইন পাওলো ডায়বালা। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে জুভেন্টাসের হয়ে মারচিসিও, হিগুয়েইন, খেদিরা গোল করলেও মানজুকিচের শট বারে লেগে ও ডায়বালার স্পটকিক ফিরিয়ে দেন ১৭ বছরের মিলান সেনসেশন দোনারুমা। প্রথম শটে লাপাদুলা মিস করলেও মিলানের বদলি খেলোয়াড় পাসালিচ শেষ শটে গোল করে ৪-৩ ব্যবধানে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এ নিয়ে চলতি মৌসুমে মিলানের কাছে দ্বিতীয় পরাজয়ের শিকার হল জুভেন্টাস। আর ৭ম বারের মত সুপার কাপ জিতে জুভেন্টাসের গড়া রেকর্ড স্পর্শ করলো মিলান।