• নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ
  • " />

     

    সেই স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে ওয়ালশের...

    সেই স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে ওয়ালশের...    

    ২১ বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে এলে ওই স্মৃতি কোর্টনি ওয়ালশের ধূসর নিউরনে অনুরণিত না হয়ে পারেই না! বেসিন রিজার্ভের ব্যাটিং-স্বর্গ উইকেটটা কিউই ব্যাটসম্যানদের জন্য বানিয়ে ফেলেছিলেন বধ্যভূমি। অমন রুদ্রমূর্তির ওয়ালশকে আগে পরে আর দেখা যায়নি। আরও একবার নিউজিল্যান্ডে ফিরে ভূমিকাটাও বদলে যাচ্ছে ওয়ালশের, এখন মাশরাফি-মুস্তাফিজদের তুণে থাকা তীরগুলো আরও লক্ষ্যভেদী করাই তাঁর কাজ। তবে সেবার যা করেছিলেন, সেই গল্প নিশ্চয় মাশরাফিদের কাছে করেছেন!

    ওই টেস্টটা হতে পারত ব্রায়ান লারার। প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ওয়েলিংটনের ওই টেস্টে ১৮১ বলে করেছিলেন ১৪৭। হতে পারত জিমি অ্যাডামসের, চার নম্বরে নেমে করেছিলেন ২২৬ বলে ১৫১। এমনকি জুনিয়র মারেরও হতে পারত, ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি যে পেয়েছিলেন সেবারই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬৬০ রানের পাহাড়টা এই তিনজনই তো গড়ে দিয়েছিলেন।

    কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই টেস্টটা যে কোর্টনি ওয়ালশের, সেটা নিয়ে এই তিনজই দ্বিমত করবেন না। কে জানত, সেই পাহাড় টপকাতে গিয়ে কয়েক পা দিয়েই এমন মুখ থুবড়ে পড়বে নিউজিল্যান্ড? স্রেফ লাইন-লেংথ দিয়েই কিউই ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিলেন। বিশেষ করে পুরো একটা ওভার ঘোল খাওয়ানোর পর স্টিভেন ফ্লেমিংকে যেভাবে লারার ক্যাচ বানিয়ে ফেলেছিলেন, সেটা ফাস্ট বোলারদের ম্যানুয়েলে অবশ্যপাঠ্যই থাকার কথা। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন আরও ছয় উইকেট। ৫৫ রানে ১৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ম্যাচে শুধু মাইকেল হোল্ডিংয়েরই এক ম্যাচে ১৩ উইকেট নেওয়ার কীর্তি ছিল। ক্যারিয়ারের ২৫০তম উইকেটটাও পেয়েছিলেন সেবারই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস ও ৩২২ রান ছিল ওই সময় টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ বৃহত্তম জয়।

     

    এরপর নিউজিল্যান্ডে আবারও এসেছেন ওয়ালশ। তবে নিজেই জানাচ্ছেন, অবসর নেওয়ার পর এটাই প্রথম, “অবসর নেওয়ার পর এখানে আর আসিনি।” এখন ভূমিকাটা নেপথ্য নায়কের, ওয়ালশ বরং সেটিতেই বেশি ধ্যানমগ্ন থাকতে চাইলেন। মুস্তাফিজ, রুবেলদের নিয়ে আশার বাণীও শুনিয়েছেন, “আমাদের এখানে ছয় থেকে সাতজন ফাস্ট বোলার আছে। আশা করি পরের বছরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারা নিজেদের চেনাতে পারবে। এখানে ওদের কিছু শেখাতে পারাটাই আমার মূল লক্ষ্য। সবচেয়ে বড় কথা, ওরাও শেখার জন্য মুখিয়েই আছে।”

    ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে যেমনই হোক, টেস্টে নিউজিল্যান্ডের উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য মাইনফিল্ড হয়ে যেতেই পারে। বিশেষ করে ওয়ালশ যখন আছেন, বাংলাদেশের বোলাররাও কম ভোগাবেন না বলেই মনে করছেন নিউজিল্যান্ডের কোচ মাইক হেসন, “কোর্টনিকে পাওয়ায় এই কন্ডিশনে বাংলাদেশের বোলাররা অনেক দিক দিয়েই বেশ লাভবান হবে।”

    ওয়ালশ কী টোটকা দিয়েছেন, সেটা মাঠেই দেখা যাবে!