ল্যাথাম-মানরোতেই খেই হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৩৪১ (ল্যাথাম ১৩৭, মানরো ৮৭; সাকিব ৩/৬৯, মুস্তফিজ ২/৬২)
ক্রিকেটে একটা কথা চালু আছে। হাতে যদি পর্যাপ্ত উইকেট থাকে, তাহলে ৩০ ওভারে তোলা রানটা ৫০ ওভার শেষে ঠিক দ্বিগুণ করে ফেলা যায়। ক্রাইস্টচার্চে আজ অন্তত সেরকম কিছু হবে বলে মনে হচ্ছিল না। ৩০ ওভার শেষে নিউজিলান্ডের রান ১৬৮, কিন্তু চার উইকেট নেই। বাংলাদেশ নিশ্চয় তাদের খুব বেশিদূর যেতে দেবে না।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত রান উঠল দ্বিগুণেরও একটু বেশি। পরের উইকেটটা যখন পড়ল, ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে ৪৬তম ওভার। নিউজিল্যান্ডের রানও হয়ে গেছে ৩১২। শেষ পর্যন্ত সেটা গিয়ে পৌছাল ৩৪১ রানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে কিউইদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা নতুন করে লেখালেন টম ল্যাথাম। কিউই ওপেনার শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ১৩৭ রান করে। কলিন মানরোর সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে তাঁর ১৫৮ রানের জুটিটাই বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দিয়েছে। কদিন আগেই ভারতের বিপক্ষে ক্যারি দ্য ব্যাট থ্রু দ্য ইনিংস করেছিলেন ল্যাথাম। আজ একটুর জন্য সেটা পারলেন না, আউট হয়ে গেছেন ৪৮তম ওভারে।
তবে বাংলাদেশ একটা সময় পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডকে কিছুটা চাপেই রেখেছিল। রানের দিক দিয়ে না হোক, অন্তত উইকেট নিয়ে হলেও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরায় আরও একবার উজ্জ্বল মুস্তাফিজ, গাপটিলকে খুব বেশি কিছু করতে দেননি। সাকিব আল হাসানও নিয়মিত ব্রেক থ্রু দিয়ে গেছেন, খুব বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই ফিরিয়ে দিয়েছেন নিল ব্রুম ও জিমি নিশমকে। তার আগে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের মহামূল্যবান উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।
কিন্তু এরপর বাংলাদেশকে হতাশ করে গেছেন মানরো-ল্যাথাম। সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক ছিলেন মানরো, শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ৬১ বলে ৮৭ রান করে। বাংলাদেশের সবার ওপরেই কমবেশি ঝড় গেছে। মুস্তাফিজও ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্পেল করেছেন। ৬৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শেষ পর্যন্ত সাকিবই সফলতম বোলার।