বাংলাদেশের হারে দুশ্চিন্তা মুশফিক
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৩৪১ (ল্যাথাম ১৩৭, মানরো ৮৭; সাকিব ৩/৬৯)
বাংলাদেশ ৪৪.৫ ওভারে ২৬৪/৯ (সাকিব ৫৯, মোসাদ্দেক ৫০*; নিশম ৩/৩৬, ফার্গুসন ৩/৫৪)
ফল নিউজিল্যান্ড ৭৭ রানে জয়ী
স্কোরকার্ড বলছে, বাংলাদেশ ৪৪.৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রানে করেছে। নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম ওয়ানডেও শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে ৭৭ রানে। কিন্তু অলআউট না হয়েও বাংলাদেশ ৯ উইকেটে থেমে গেল কেন? পরাজয়ের চেয়ে এই ওয়ানডেতে ওটাই বোধ হয় বাংলাদেশের জন্য বেশি উদ্বেগের। চোট পেয়ে যে আর ব্যাটিংই করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম।
ঘটনাটা মিচেল স্যান্টনারের করা ইনিংসের ৩৯তম ওভারে। কঠিন একটা সিঙ্গেল নিতে গিয়ে নন স্ট্রাইক এনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু সেটি করতে গিয়েই চোট পান, টিভিতে দেখে সেটি হ্যামস্ট্রিংই মনে হয়েছে। আরও কয়েকটা বল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাঠ থেকে চলে যেতে হয়েছে। পরে আর ফিরতে পারেননি ক্রিজে।
অথচ ব্যাট হাতে দারুণ খেলছিলেন মুশফিক। ৪৮ বলে ৪২ রানও করে ফেলেছিলেন। যখন ওই ঘটনা ঘটে, তখন বাংলাদেশের জয়ের সমীকরণটাও খুবই কঠিন। ১১.৩ ওভারে দরকার ছিল ১২২ রান। কিন্তু মুশফিক-মোসাদ্দেক যেমন খেলছিলেন, বাংলাদেশ অন্তত লড়াই করতে পারবে বলেই মনে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেক একা চেষ্টা করেও আর পারেননি, ৪৪ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করে অপরাজিত ছিলেন এক প্রান্তে।
বাংলাদেশের ইনিংসে অবশ্য ওটাই প্রথম ফিফটি নয়। অন্তত শুরুতে তামিম ইকবাল তো পেতেই পারতেন। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটির পর দ্রুতই ফিরে যান সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ। এরপর সাকিবকে নিয়ে জুটি গড়ে সেই ধাক্কাটা সামাল দেন তামিম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে যান ৩৮ রান করে।
তবে সাকিব অন্য পাশে খেলছিলেন দারুণ। যতক্ষণ ব্যাট করছিলেন, বাংলাদেশের আশাও বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে ৫৯ রান করে আউট হয়ে যান। বাংলাদেশের শুরুটাও প্রথম ম্যাচে হয়েছে হার দিয়েই।
তার আগে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড করেছিল ৩৪১।