দিবালাতে মেসির ছায়া দেখছেন হিগুয়েইন
২০১১ সালে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় বিভাগ থেকে শুরু করেছিলেন। মাত্র ৪ বছরের ব্যবধানেই ইউরোপিয়ান ফুটবলের অন্যতম বড় নাম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে ক্লাব সতীর্থ হিগুয়েইন তাই সতীর্থ পাওলো দিবালার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আর্জেন্টিনা ও জুভেন্টাস স্ট্রাইকার স্বদেশীকে দেখছেন মেসির উত্তরসূরি হিসেবেই।
জুভেন্টাসে খুব দ্রুতই মানিয়ে নিয়েছেন সাবেক পালের্মো ফরোয়ার্ড। প্রথম মৌসুমেই ক্লাবের হয়ে সিরি-এ, কোপা ইতালিয়া এবং ইতালিয়ান সুপার কাপের শিরোপা অর্জনে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন ২৩ গোল ও ১০ অ্যাসিস্ট করে। ৩ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট করে তরুণ আর্জেন্টাইন এই মৌসুমেও আলো ছড়াচ্ছেন। লিগ টেবিলে জুভেন্টাস আছে ৪ পয়েন্ট এগিয়ে। এ বছর দেশের হয়েও অভিষেক হয়েছে দিবালার। মুগ্ধ হিগুয়েইন তাই বলছেন, দিবালা ৫ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির পথেই হাঁটছেন।
দেশের হয়ে ৩১ গোল করা এল পিপিতা বেশ মিল খুঁজে পাচ্ছেন আলবিসেলেস্তে অধিনায়ক আর দিবালার মাঝে, "দিবালা এবং মেসি অনেকটাই একই রকমের খেলে, খেলায় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে দুজনই। মেসি নিঃসন্দেহে সেরা এবং প্রতিদিনই সেটা করে দেখাচ্ছে। তবে পাওলো এখনো তরুণ। তার বয়স মাত্র ২৩, কিন্তু ভবিষ্যতে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হবার জন্য সবরকম গুণই আছে তার মধ্যে। শীর্ষস্থানীয় লিগে খেলতে হলে মানসিক শক্তি থাকতে হয়। এত কম বয়সে খুবই দ্রুত শীর্ষ পর্যায়ে চলে এসে সেটা অনেকদিন ধরে রাখা সহজ নয়। সামনের দিনগুলি বলে দেবে সে কেমন করবে।"
ড্রিবলিং, গতি, কৌশল আর জাল খুঁজে নেবার দুর্দান্ত চোখ সব মিলিয়ে অনেকেই আগামী দিনের তারকার ছবি আঁকছেন দিবালার মাঝে। তবে ২৯ বছর বয়সী সাবেক নাপোলি স্ট্রাইকার ডায়বালাকে পরামর্শ দিয়েছেন বুঝে-শুনে চলতে, "ফুটবলে উত্থান-পতন থাকবেই, কিন্তু নিজেকেই ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। সবসময় প্রশংসা-সমালোচনায় কান দেওয়াটা জরুরী নয়।"