• নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ
  • " />

     

    সাকিবদের জন্য শর্ট বলেই ছক কষেছিলেন ফার্গুসনরা

    সাকিবদের জন্য শর্ট বলেই ছক কষেছিলেন ফার্গুসনরা    

    সেই গত বিশ্বকাপের সময় সর্বশেষ উপমহাদেশের বাইরে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার অবশ্য মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকদের ব্যাট ভালোই হেসেছিল। তবে আবার সেই নিউজিল্যান্ডে ফিরে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের হন্তারক হয়ে দাঁড়াল শর্ট বল। কিউই পেসার লকি ফার্গুসনও মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের শর্ট বল করার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন তাঁরা।

    ক্রাইস্টচার্চে প্রথম ওয়ানডের উইকেটে বোলারদের জন্য সুইং সেভাবে ছিলই না। তবে কিউই বোলাররা শরীরঘেষা বাউন্সার দিয়েই ভোগাতে চেয়েছেন বাংলাদেশকে। সেই চেষ্টা সফলই হয়েছে বলা যায়। বাংলাদেশের যে নয়জন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে পাঁচজনই শর্ট বলে আউট হয়ে ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। ফার্গুসনের তিনট উইকেটই শর্ট বলে এসেছে। এর মধ্যে সাকিব আল হাসান ও সাব্বির রহমানের উইকেটেও আছে মিল। দুজনেই ফার্গুসনকে ছয় মারার পরেই শর্ট বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন।

     

    ফার্গুসনও পরে জানিয়েছেন, ম্যাচের আগেই এটা তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, “আমরা জানি, ওরা দেশের মাটিতে লম্বা একটা মৌসুম কাটিয়েছে। বাড়তি বাউন্স আর পেসের সঙ্গে ওরা হয়তো সেভাবে অভ্যস্ত থাকবে না, সেটাও আমরা বুঝেছিলাম। ওই জায়গাটাই আমরা কাজে লাগাতে চেয়েছি।” নিজে কিছু রান দিলেও সেটা বড় করে দেখছেন না, “আমি জানতাম বলটা শরীরের ওপরের দিকে গেলে সেটা খেলতে ওরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে না। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক দুইবার পিটুনি খেতে হতেই পারে। আমরা যদি পরিকল্পনা ঠিকঠাক কাজে লাগানোর চেষ্টা করি তাহলে সেটার সুফল পাবই।”

    বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও স্বীকার করেছেন, তাঁরা শর্ট বল সেভাবে কাজে লাগাতে পারেননি, “ওরা সব বল করেছে মাথার সমান উচ্চতায়, সেখানে ওদের বল করেছি বুকে। সেটা ওদের খেলতে সুবিধাই হয়েছে। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের আগেই কাজ করা উচিত ছিল।”