মাশরাফিদের তোপে ব্রুমের প্রতিরোধ
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৫১ (ব্রুম ১০৯*, রঙ্কি ৩৫, ল্যাথাম ২২; মাশরাফি ৩/৪৯, সাকিব ২/৪৫, তাসকিন ২/৪৫)
প্রশ্ন হতে পারে, অভিষেকের পর প্রথম সেঞ্চুরি পেতে সবচেয়ে বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে কার? নিল ব্রুমের নামটা শুরুর দিকেই আসতে পারে। ছয় বছর আগে ওয়ানডে অভিষেকের পর দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। আবার দলে ফিরে দ্বিতীয় ম্যাচেই পেলেন অভিষেক সেঞ্চুরি। পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী সেঞ্চুরিটা এর চেয়ে মোক্ষম সময়ে বোধ হয় চাইতে পারতেন না ব্রুম! তাঁর ইনিংসেই যে নেলসের স্যাক্সটন ওভারলে শেষ পর্যন্ত আড়াইশ পেরুতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড।
ইতিহাস বলছে, এই রানও নিউজিল্যান্ডের জন্য যথেষ্ট হওয়ার কথা নয়। এই মাঠে সর্বশেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ২৮৫ রান তাড়া করে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। অন্তত ৫০ ওভার খেলেছে, এমন ম্যাচে এখন পর্যন্ত এখানে কেউ ২৭৬ রানের কম করেনি। তবে বোল্ট-সাউদিরা যখন আছেন, বাংলাদেশের কাজটা নিশ্চয় সহজ হবে না।
অবশ্য নিউজিল্যান্ডের স্কোর আরও কম হতে পারত। সেজন্য পুরো কৃতিত্বটাই নিল ব্রুমের পাওনা। যখন ক্রিজে নেমেছিলেন, ৩৭ রানের মধ্যেই নিউজিল্যান্ড হারিয়ে ফেলেছে গাপটিল ও ল্যাথামকে। ইনিংসের চতুর্থ বলেই গাপটিলকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি, সিরিজে টানা দ্বিতীয়বার উইলিয়ামসনকে আউট করেছেন তাসকিন। ১০ রানের মধ্যে সাকিবের বলে ল্যাথামও যখন ফিরে গেলেন, নিউজিল্যান্ড সংকটেই পড়ে গিয়েছিল।
সেখান থেকে মেরামতের কাজটা শুরু করলেন জিমি নিশমকে নিয়ে। চতুর্থ উইকেটে দুজন যোগ করলেন ৫১ রান। এরপর ৯ রানের ভেতর আরও দুই উইকেট হারাল নিউজিল্যান্ড। মোসাদ্দেকের বলে স্টাম্পড হয়ে গেলেন নিশম, আর মাশরাফির অসাধারণ এক ডেলিভারিতে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড আগের ম্যাচে আলো ছড়ানো কলিন মানরো।
সেখান থেকে আবার ব্রুমকে সঙ্গ দিলেন লুক রঙ্কি। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন ৬৪ রান তুলে ফেললেন ১২ ওভারের মধ্যেই। রঙ্কি যখন বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, তখনই তাঁকে ফিরিয়ে দিলেন তাসকিন। তবে ব্রুম ছিলেন অবিচল। এর পর মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি ও লকি ফার্গুসন- কেউই ব্রুমকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষ ব্যাটসম্যান ট্রেন্ট বোল্ট আসার পরেই শেষ পর্যন্ত পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরিটা। শেষ উইকেটে ২৩ রান তুলে নিউজিল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন লড়াই করার মতো পুঁজিও।