আরও একবার সেই বাংলাদেশ
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৫১
বাংলাদেশ ৪২.৪ ওভারে ১৮৪ (ইমরুল ৫৯, সাব্বির ৩৮, নুরুল ২৪; উইলয়ামসন ৩/২২, বোল্ট ২/২৬ , সাউদি ২/৩৩)
২৩ ওভারে ১ উইকেটে ১০৫। ২৭ ওভারে দরকার আরও ১৪৬ রান, হাতে আছে ৯ উইকেট। কিন্তু সেখান থেকে আত্মহত্যার অবিশ্বাস্য এক প্রদর্শনীতে ম্যাচটা বাংলাদেশ ৬৭ রানে হেরে গেল। পরের ৭৯ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলল ৯ উইকেট। আরও একবার হাতের মুঠোয় আসতে থাকা ম্যাচটা নিজেরাই ছুঁড়ে ফেলে দিল। প্রথম দুই ম্যাচ হারে সিরিজ পরাজয়ও নিশ্চিত হয়ে গেল।
সেই ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটাই হয়েছিল হাস্যকর এক ভুল বোঝাবুঝিতে। ২৩তম ওভারে একটা সিঙ্গল নিতে গিয়েই একই প্রান্তে চলে আসেন সাব্বির রহমান ও ইমরুল কায়েস। অনেক দিন পর সাব্বির যেন ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন, আজ ৩৯ রানও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইমরুলের জন্য "আত্মত্যাগটা" তাঁকেই করতে হয়। দুজনের ৭৫ রানের জুটিটাও ভেঙে যায়।
সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েও ইমরুল বড় কিছু করতে পারেননি। তার আগেই অবশ্য শুরু হয়ে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার হারিকিরি শো। একমাত্র মাহমুদউল্লাহর আউটটাই বলতে গেলে বাজে শট খেলে দিয়ে আসেননি। লকি ফার্গুসনের ইয়র্কারে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভেঙে যায় তাঁর স্টাম্প। প্রথম ম্যাচে কোনো রান না করেই আউট গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, আজ করলেন ১। নিউজিল্যান্ড সফরে দুঃস্বপ্নটা যেন কাটতেই চাইছে না।
তবে বাকি ব্যাটসম্যানরা অকাতরে উইকেটটা বিলিয়েই দিয়ে গেছেন। কেন উইলিয়ামসনের মূল পরিচয় ব্যাটসম্যান, অথচ তিনিই আজ হয়ে গেলেন নিউজিল্যান্ডের মূল ঘাতক। তাঁর অফ স্টাম্পের বাইরের একটা বল কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন সাকিব। আরেকটি একেবারেই নিরীহদর্শন বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোসাদ্দেক ক্যাচ দিয়েছেন মিড অনে। অভিষিক্ত তানবীর হায়দারও ক্রিজ থেকে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে হয়ে গেছেন স্টাম্পড।
তার আগে অবশ্য ইমরুলের ফিফটি হয়ে গেছে। তবে ওদিকে সতীর্থেরা আসা যাওয়ার ওপর থাকায়, তাঁর ওপরও চাপ কিছুটা বাড়ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটা সহ্য করতে না পেরেই টিম সাউদির বলে ক্যাচ তুলে দিলেন গালিতে।
১৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর পরেই বাংলাদেশ আসলে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে। এরপর মাশরাফি মেরে খেলার চেষ্টা করলেও খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নবাগত নুরুল হাসানও চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া তেমন কিছু করতে পারেননি।
তার আগে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয় ২৫১ রানে।