ধৈর্যের অভাবকেই দুষলেন মাশরাফি
পরিসংখ্যান ছিল পক্ষে। নেলসনের স্যাক্সটন ওভারে ৫০ ওভার ব্যাট করে ২৭৬ রানের নিচে কেউ করেনি। উইকেটও ছিল ফ্ল্যাট। বাংলাদেশ শুরুটাও করেছিল দারুণ, ১ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রানও তুলে ফেলেছিল। কিন্তু এরপরেই যেন ছন্দপতন, পরের ৭৯ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলল আরও ৯ উইকেট। মাশরাফি বিন মুর্তজাও স্বীকার করলেন, বড় একটা সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে।
কিন্তু বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা অমন আত্মহননের মিছিলে নামল কেন? এক মাহমুদউল্লাহ ছাড়া টপ অর্ডারের বাকি সবাই বলতে গেলে উইকেটই দিয়ে এসেছেন। মাশরাফি অবশ্য ঠিক ছুঁড়ে আসার ব্যাপারটা মানতে চাইলেন। বরং বললেন, বেশি তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই বিপদ ডেকে এনেছেন ব্যাটসম্যানরা, “আমরা হয়তো রানের জন্য আরও বেশি তাড়াহুড়া করছিলাম। আমাদের ওই সময় একটু ধৈর্য্য ধরা উচিত ছিল। উইকেট দিয়ে আসার চাইতে আরেকটু সময় ক্রিজে থাকলেই হয়তো হয়ে যেত।“
সেই দায়টা বেশি কার? মাহমুদউল্লাহ-সাকিব-মোসাদ্দেকের মিড অর্ডারের ব্যর্থতাই আপাতত বড় প্রশ্নচিহ্ন হয়ে থাকছে। তবে মাশরাফি মনে করেন, ইমরুল-সাব্বিরের কেউ ক্রিজে থাকলেই ম্যাচটা হয়তো বের করে ফেলা যেত, “ওদের ব্যাটসম্যানরা ভুগলেও ব্রুম যেমন সুযোগ পেয়ে বড় ইনিংস খেলেছে। আমাদের ইমরুল আর রুম্মানের (সাব্বিরের) সুযোগ ছিল বড় ইনিংস খেলার। ওরা তো শুরুতেই সেট হয়ে গিয়েছিল। আমাদের সামনে সেটার সুযোগ ছিল। মাহমুদউল্লাহ বা সাকিব যেমন শুরুতেই আউট হয়ে গেছে। ওদের তো আসলে শুন্য থেকে শুরু করতে হয়েছে। ”
মাশরাফি মানলেন, নিউজিল্যান্ডে প্রথম জয়ের এর চেয়ে ভালো সুযোগ হয়তো দল আর পেত না, “এখানে তো উপমহাদেশের সব দলই সুযোগ খোঁজে, যেন সেটা কাজে লাগাতে পারে। আজকে উইকেট আগের দিনের চেয়ে ফ্ল্যাট ছিল। সেটা আমরা প্রমাণও করছিলাম। অবশ্যই বড় একটা সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে।”
সিরিজ হেরে গেছে, শেষ ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য এক অর্থে সান্ত্বনা রক্ষারই। তবে মাশরাফি এর মধ্যেও ইতিবাচক দিক খুঁজছেন, “এ ধরনের কন্ডিশনে এ ধরনের সুযোগ তৈরি করতে পারাটা ভালো দিক। খেলোয়াড়দের উচিত হবে এটা থেকে প্রেরণা নেওয়া। আমি চাইব, শেষ ম্যাচে সবাই সেটা কাজে লাগাবে।”