আবারও "আত্মত্যাগের" জন্য প্রস্তুত সাব্বির
ওই রান আউট নিয়ে আক্ষেপটা হয়তো অনেকদিন থাকবে দুজনের। ২৫১ রান তাড়া করতে নেমে এর মধ্যেই ১০৫ রান হয়ে গেছে, হাতে আছে আরও নয় উইকেট। কিন্তু এমন সময় ইমরুল কায়েসের সঙ্গে হাস্যকর এক ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে গেলেন সাব্বির রহমান। দুজনেই স্বীকার করেছেন, ওটা শুধু ভুল বোঝাবুঝিই ছিল। তবে সাব্বির বলছেন, সামনে ইমরুলকেই তিনি ক্রিজ ছেড়ে দেবেন।
সাব্বির বলছেন, কে আউট হয়েছে সে ব্যাপারটা খুব বড় করে দেখছেন না, “ব্যাট প্লেস করা নিয়ে কোনো চিন্তা ছিল না। আগে করব না পরে করব। ইমরুল ভাই আগে চলে গেছেন। সেজন্য উনি বেঁচে গেছেন। আমি আউট হয়ে গেছি। উনি সেট ব্যাটসম্যান ছিলেন। রান আউটটা হয়তো গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু সেটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়ে গেছে। একটা ম্যাচে এরকম হতেই পারে।”
কিন্তু সামনে এরকম পরিস্থিতিতে সাব্বির কি করবেন? জানিয়ে দিলেন, সিনিয়র ব্যাটসম্যানের জন্য “আত্মত্যাগ” করতে আপত্তি নেই তাঁর, “আমার উচিত ছিল ওনাকে ক্রিজ ছেড়ে দেওয়া। ভবিষ্যতে এটা হবে না।”
ইমরুলও ওই রান আউট খেলার অংশ হিসেবেই দেখছেন, ‘রান আউট খেলারই অংশ। রান আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত সব ভালোই চলছিল, দুজনের বোঝাপড়া ভালো ছিল। একটা ভুল হয়ে গেছে। ওটা অবশ্যই টার্নিং পয়েন্ট ছিল। সাব্বির ও আমি আর কিছুক্ষণ খেলতে পারলে ম্যাচ সহজ হয়ে যেত।”
কিন্তু সেট ব্যাটসম্যান হিসেবে পরে উইকেট দিয়ে আসাটা ইমরুল কীভাবে দেখছেন? বাংলাদেশের ওপেনারের আত্মপক্ষ সমর্থন, “মোসাদ্দেক আউট হওয়ার পরে একটু চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। যখনই ঠিক করছিলাম যে একটু স্ট্রোক খেলব, তখনই আউট হয়ে যাচ্ছিল কেউ না কেউ। সেজন্য নতুন করে ভাবতে হচ্ছিল।”
তবে এসব কন্ডিশনে উইকেটে থিতু হওয়ার ব্যাপারটাও একটু অন্যভাবে দেখছেন ইমরুল, “এসব কন্ডিশনে কোনো ব্যাটসম্যান কখনও বলতে পারবে না যে আমি সেট ব্যাটসম্যান। কারণ এখানে বাতাস আছে, বাউন্স আছে, সুইং আছে। একটা ব্যাটসম্যান ৭০-৮০ রান করার পরও যে কোনো সময় আউট হতে পারে। যেটা উপমহাদেশে হয় না। এখানে প্রত্যেকটি বলে মনযোগ দিতে হয়, প্রতিটা বলই বুঝে খেলতে হয়।”