ধবলধোলাই হয়েই বাংলাদেশের বছর শেষ
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৩৬/৯ (তামিম ৫৯, কায়েস ৪৪, নুরুল ৪৪; স্যান্টনার ২/৩৬, হেনরি ২/৫৩)
নিউজিল্যান্ড ৪১.২ ওভারে ২৩৯/২ (ব্রুম ৯৭, উইলিয়ামসন ৯৫*; মুস্তাফিজ ২/৩২)
ফলঃ নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী
প্রায় ৫২ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। স্কোরকার্ড বলছে, এই ম্যাচে বাংলাদেশের কোনো সুযোগই ছিল না। তবে স্কোরকার্ড বলছে না, একটা ক্যাচ মিস না করলে ম্যাচের ফলটা হয়তো অন্যরকমও হতে পারত।
২৩৬ রান এমন আহামরি কোনো পুঁজি নয়, শুরুতেই তাই উইকেট দরকার ছিল বাংলাদেশের। সেই কাজটা নিজের প্রথম ওভারেই করলেন মুস্তাফিজুর রহমান, দারুণ এক বলে টম ল্যাথামকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেললেন। দুই ওভার পরেই আরেকটি উইকেট পেয়ে যেতে পারতেন মুস্তাফিজ, নিউজিল্যান্ড হয়ে যেতে পারত ১৬ রানে ২ উইকেট। কিন্তু শুন্য রানে নিল ব্রুমের সহজ ক্যাচটা স্লিপে ফেলে দিয়েছেন ইমরুল কায়েস।
অবশ্য ২ উইকেট নয়, নিউজিল্যান্ডের আসলে ৩ উইকেটই নেই হতে পারত। তৃতীয় ওভারেই যে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান খেয়ে মাঠ ছেড়ে গেছেন মার্টিন গাপটিল। বোঝাই যাচ্ছিল, এই ম্যাচে তাঁর ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
সেটা অবশ্য আর দরকারও হয়নি। সেই যে জীবন পেয়েছেন, এরপর সেটি এর চেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারতেন না ব্রুম। দ্বিতীয় উইকেটে কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে ১৭৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটা বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছেন। শেষ পর্যন্ত সেই মুস্তাফিজই আবার ব্রুমকে আউট করেছেন, এবার গালিতে দারুণ ক্যাচ ধরেছেন মাশরাফি। তবে ব্রুম আফসোস করতেই পারেন, টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা তিন রানের জন্য পাওয়া হয়নি।
তবে ম্যাচের ফলটা ততক্ষণে নিশ্চিত হয়ে গেছে। উইলিয়ামসন সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের ব্যর্থতাও শেষ ম্যাচে ঘুঁচিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ আর কিছু রান বেশি করলে হয়তো সেঞ্চুরিটাও পেয়ে যেতে পারতেন। শেষ পর্যন্ত ৯৫ রান করেই অপরাজিত ছিলেন। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের পরাজয়। বছরের শেষটা দুঃস্বপ্নের মতোই হলো মাশরাফির।
এর আগে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২৩৬ রান করতে পেরেছিল বাংলাদেশ।