• নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ
  • " />

     

    সিনিয়ররাই কেন সব করবে, প্রশ্ন সাকিবের

    সিনিয়ররাই কেন সব করবে, প্রশ্ন সাকিবের    

    হঠাৎ করেই যেন টালমাটাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের তরী। ওয়ানডেতে ধবলধোলাইয়ের পর বেশ কিছু প্রশ্নও উঠে গেছে। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যেমন সরাসরি জানিয়েছেন, দলে সিনিয়রদের আরও বেশি এগিয়ে আসতে হবে। তবে সিনিয়র-জুনিয়রের বিভাজনটাই উড়িয়ে দিচ্ছেন সাকিব আল হাসান, তাঁর মতে দলের ১১ জনকেই অবদান রাখতে হবে।

    চোট পেয়ে মুশফিক ছিটকে পড়েছেন। তামিম, সাকিব, মাশরাফি খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহ তো ক্যারিয়ারেরই সবচেয়ে বাজে সিরিজ কাটিয়েছেন। হাথুরুসিংহে তাই বলছেন, এই অবস্থায় সিনিয়রদেরই হাল ধরতে হবে। কিন্তু সাকিব ব্যাপারটা অন্যভাবে দেখছেন।

    এই অলরাউন্ডারের মতে, দলে সাফল্য-ব্যর্থতা যাই হোক না কেন, সেটা ১১ জনকেই ভাগাভাগি করে নিতে হবে, “আসলে একটা টিমে ১১ জন খেললে সবারই দায়িত্ব আছে। সেখানে আসলে সিনিয়র-জুনিয়র বলে কিছু নেই। দিন শেষে এটা বাংলাদেশ দল। জিতলে সবারই কৃতিত্ব, আর হারলে সেই দায়ও সবাইকেই ভাগ করে নিতে হবে। এখানে সিনিয়র জুনিয়রের ব্যাপারটা আমার কাছে মনে হয় না খুব বেশি যুক্তিযুক্ত। আমার মনে হয়,  সবারই একটা বোধ আছে নতুন এসেছে বলেই সে কিছু করতে পারবে না ব্যাপারটা এমন নয়। আমরা সবাই বিশ্বাস করি, নতুনরা যোগ্যতাবলেই দলে এসেছে।”

    সাকিব স্পষ্ট করেই বলে দিলেন, দলে সবাইকেই অবদান রাখতে হবে, “ আপনি যদি চিন্তা করেন সিনিয়রাই সব করবে তাহলে তো হবে না। সেটা হলে তো আপনি আসলে পাঁচজন নিয়ে খেলছেন। কিন্তু ব্যাপারটা তো আসলে তেমন না। ছয়টা জুনিয়র খেলোয়াড়ের নিশ্চয় দায়িত্ব আছে।” মনে করিয়ে দিলেন, দলের জয়ে সবারই কিছু না কিছু অবদান আছে, “আমরা এমন দল না ব্যক্তিগতভাবে একা খুব বেশি কিছু করতে পারব।  আমরা আগে যেসব ম্যাচ জিতেছি, তাতে আসলে বেশ কয়েকজনেরই অবদান ছিল। আমরা যত বেশি ম্যাচ খেলেছি, তাতে আসলে দলীয় অবদানটাই বেশি ছিল।”

    আগামীকাল নেপিয়ারে হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রথমটি।