মাহমুদউল্লাহর "ফেরায়" বাংলাদেশের ১৪১
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৪১/৮ (মাহমুদউল্লাহ ৫২, মোসাদ্দেক ২০; ফার্গুসন ৩/৩২)
ওয়ানডে সিরিজে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। তিন ম্যাচে করতে পেরেছিলেন মাত্র ৪ রান, ক্যারিয়ারেই কখনো এতোটা রানখরার মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি। অবশেষে টি-টোয়েন্টিতেই সেই দুঃস্বপ্ন কাটালেন, পেয়েছেন নিজের তৃতীয় ফিফটি, মাহমুদউল্লাহর ৪৭ বলে ৫২ রানেই তো বাংলাদেশ পেয়েছে ১৪০ রানের লড়াই করার পুঁজি।
অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ ১০০ পেরুতেই হিমশিম খেয়ে যাবে। দ্বিতীয় ওভারেই আউট ইমরুল কায়েস, এরপর তামিম ও সাব্বির একটু মেরামতের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পঞ্চম ওভারে তামিমের আউটে শুরু মড়কের। হুইলারের বল তুলে মারতে গিয়ে ১১ রানেই ফিরে যান তামিম। সাব্বির ১৫ বলে ১৬ রান করে বড় কিছুর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিলেন। কিন্তু লকি ফার্গুসনের ফুলটস বলে আউট হয়ে যান। নিজেকে হারিয়ে খোঁজা সৌম্য সরকার আরও একবার ব্যর্থ, ফার্গুসনের পরের বলেই ক্যাচ দেন গালিতে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম দুই বলেই উইকেট পেলেন ফার্গুসন, এর আগে যে কীর্তি ছিল শুধু মাইকেল কাসপ্রোভিচের।
৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন কাঁপছে, সেখান থেকে হাল ধরলেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু দুজনের জুটি ২৭ রান করার পর স্যান্টনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন সাকিব। এরপর মোসাদ্দেকের ১৭ বলে ২০ রানের ইনিংসটা রানের চাকা একটু সচল করেছে।
তবে আরকে প্রান্ত আঁকড়ে রেখে মাহমুদউল্লাহ ঠিকই রান করে যাচ্ছিলেন। মাশরাফি ও নুরুলকে নিয়ে বাংলাদেশকে ১৫০ রানের স্বপ্নও দেখাচ্ছিলেন। শেষ ওভারে ফার্গুসনের দুর্দান্ত বলে আউট না হলে সেটা হয়তো পেয়েও যেতেন। তবে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি পেয়ে গেছেন তার আগেই। এর আগে সর্বশেষ ১০ টি-টোয়েন্টিতে মাত্র চারবার আউট হয়েছিলেন, সেই গৌরবটা একটুর জন্য ধরে রাখতে পারলেন না। তবে যা হয়েছে, তাতে মাহমুদউল্লাহ আনন্দের চেয়ে স্বস্তিই পাবেন।
নিজেকে ফিরে পাওয়ার স্বস্তি, নিজেকে চেনানোর স্বস্তি।